শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

ইমরান খানের কপালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর আসন আছে?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম: পাকিস্তান নির্বাচনের আর মাত্র আট দিন বাকি। নির্বাচনী প্রচারণার সাথে সাথে পাকিস্তানের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। অ-রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, মিডিয়ার মাতামাতি, এদিকে নওয়াজ শরীফ ও তার মেয়ের গ্রেফতার। খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসী ঘটনাসহ নানান কারণে শোচনীয় অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান।

নির্বাচনের সময় স্বচ্ছতা ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে মানুষ। গণতান্ত্রিক শক্তি নিরাপত্তাহীনতা ও অস্থিতিশীলতা নিয়েও উদ্বেগের কমতি নেই সেখানে।

কিন্তু এরই মধ্যে ইমরান খান একজন তরুণ, যিনি সমুদ্রের মাঝে দাঁড়িয়ে আত্মবিশ্বাসের স্লোগান দিয়ে যাচ্ছেন। দ্যা রোড টু নয়া পাকিস্তানের স্বপ্ন নিয়ে দেশবাসীকে ঘুম থেকে জাগানোর চেষ্টা করছেন তিনি।

কিন্তু তার এ চেষ্টা কি সফল হবে ? তিনি কি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন? এ প্রশ্ন এখন মানুষের মনে মনে।

প্রবীণ কয়েকজন বুদ্ধিজীবী এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে  বলেন,  আমার মতে আগামী নির্বাচনে ইমরান খান প্রধানমন্ত্রীর পদ পাবে না।

জুলফিকার আলী ভুট্টো, নওয়াজ শরীফ ও ইমরান খানের রাজনৈতিক আখ্যানের অনেকগুলি কোণ রয়েছে, কিন্তু তিনজন নেতাকে পাকিস্তানি শক্তির উৎস হিসেবে দেখা হয়।

১৯৬৭ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত দৃশ্যত ভুট্টো একটি বিপ্লবী দলের নেতৃত্বে ছিল। নওয়াজ শরিফ সামরিক একনায়কত্বের শাসন করে গেছে। ১৯৯০ এ নির্বাচনে তিনি খোলাখুলিভাবে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী হন।

ক্রমান্বয়ে আবিস্কার হলো ইমরান খানের দল। ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ একটি রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে তার হাকডাক ছিলো অনেক বেশি।

পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখানোতে খানের হাতে দেশের ক্ষমতা দিয়ে দিবে জনগণ এতো সহজ না। দুর্নীতির ইতিহাস যাদেরই আছে তারাই ক্ষমতা থেকে অপসারিত হয়েছে।

এখন শুধু স্বপ্ন দেখিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার লোভ দেখানোতে চিড়া ভিজবে না বুঝা যাচ্ছে। প্রতিবছরই এমন স্বপ্ন দেখানো খুবই সহজ বলে মনে করছে দেশের জ্ঞানীরা।

কিন্তু ইমরান খানের জনপ্রিয়তা তার ব্যক্তিগত কিছু খারাপ রেকর্ডের কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বিরা এগিয়ে আছে তাদের রেকর্ডের থেকে বেশি জনপ্রিয়তার মাধ্যমে।

সব মিলিয়ে বুদ্ধিজীবীরা মনে করছেন ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রী হওয়া শুধুই স্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই না।

জঙ্গ উর্দূ পত্রিকা থেকে আবদুল্লাহ তামিমের অনুবাদ 

পাকিস্তানে নির্বাচনের অাগে কেন এই সহিংসতা?


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ