শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

লন্ডনে প্রথম মসজিদ নির্মাণকারী হাজী মোহাম্মদ ডোলি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মিরাজ রহমান
তরুণ সাংবাদিক

হাজী মোহাম্মদ ডোলির পিতা ছিলেন একজন স্কটিশ এবং তার মাতা ছিলেন একজন মালায় আদিবাসী। তিনি ১৮৪৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউনে জন্মগ্রহণ করেন। কেপ টাউনে তিনিই সর্বপ্রথম হানাফি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৮০ সালের দিকে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।

আব্দুল্লাহ কুইলিয়ামের জীবনী পড়ার সময় আমি অবাক হই এটা শুনে যে ১৮৯৫ সালে লন্ডনের রিজেন্টস পার্কের সামনে প্রথম মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল। তখন আমার মনে প্রশ্ন জাগে, এই মসজিদের নির্মাতা কে?

প্রশ্নটি আমাকে লন্ডনের ভিক্টোরিয়ান মসজিদ এবং এর নির্মাতা হাজী মোহাম্মদ ডোলি’র পুরনো ইতিহাস ঘাঁটতে বাধ্য করে। কে ছিলেন এই হাজী মোহাম্মদ ডোলি? হাজী মোহাম্মদ ডোলি ১৮৯৫ সালে লন্ডনে আসেন। তার দুই সন্তানসহ তিনি আলবার্ট স্ট্রিটে বসবাস করতেন।

হাজী একজন দক্ষ হাফেজ হওয়াতে লন্ডনের মুসলিম বাসিন্দারা তাদের সন্তানদেরকে কুরআন শিক্ষা দেওয়ার জন্য তাকে অনুরোধ করেন। তিনি অনুরোধে রাজি হন। তাদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য নিজের ড্রয়িং রুমকে মসজিদ বানানোর পরিকল্পনা নিয়েছিলেন।

তার এই ঘরের মধ্যে মসজিদ বিষয়টা অনেককেই আকর্ষণ কারে। এই মসজিদে নিয়মিতভাবে নামাজ পড়ানো হত এবং আজান দেওয়া হত। তাছাড়াও ঈদের সময় অনেক মুসলিমই বাহারি রঙের পাঞ্জাবি পরে তার ঘরে প্রবেশ করতো। নিজের ঘরে নামাজ পড়ানোর পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন এলাকায় জানাজার নামাজও পড়াতেন।

তিনি ধর্মীয় উপায়ে নির্দেশনা দিতেন এবং শ্বেতাঙ্গদেরকে ইসলাম ধর্ম বেছে নেওয়ার আহ্বান করতেন। এই মসজিদ ছিল মুসলিমদের একত্র হওয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ জায়গা। এটি এমন জায়গা ছিল যেখানে সকল মুসলিমই এক হয়ে কাজ করতেন।

১৮৯৯ সালের দিকে ডোলি স্বপরিবারে ১৮৯ ইউস্টোন রোডে (বর্তমানে ওয়েলকাম কালেকশান) চলে আসেন। এখানেও তিনি তার ঘরকে মসজিদ হিসেবে ব্যবহার করতেন।

ধারণা করা হয়, তার পুত্রসহ লিভারপুলের সকল মুসলিমদের জন্যই তিনি তাদের কাছাকাছি ইউস্টোন রোডে চলে আসেন।

সূত্র : ওয়ার্ল্ড বুলেটিন.নেট

আরও পড়ুন : বাংলাদেশে রাসুল সা. সময়ে নির্মিত মসজিদ (ভিডিও)


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ