শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে বর্ণিত ১০টি আয়াত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মিরাজ রহমান
লেখক ও সাংবাদিক

আল্লাহ আমাদের সৃষ্টিকর্তা। তিনিই আমাদের পালনকর্তা। আল্লাহ সব কিছু দেখেন এবং সব কিছুই শোনেন। তিনি এ বিশ্বজগৎ ও সমস্ত সৃষ্টির একমাত্র স্রষ্টা এবং একমাত্র পরিচালক। তিনি মানুষকে রিজিক দান করেন। তিনিই রোগাক্রান্ত করেন, আবার তিনিই আরোগ্য দান করেন। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে বিভিন্ন আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে। নিম্নে তেমন কিছু আয়াত উল্লেখ করা হলো-

১. কোন কিছুই তার সদৃশ নয়, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা। (সুরা: শুরা, আয়াত: ১১)

২. নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা। (সুরা: নিসা, আয়াত: ৫৮)

৩. আল্লাহ রাত্রিকে প্রবিষ্ট করেন দিবসের মধ্যে এবং দিবসকে প্রবিষ্ট করেন রাত্রির মধ্যে এবং আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সম্যক দ্রষ্টা। (সুরা: হজ্জ, আয়াত: ৬১)

৪. হে নবী! তুমি বল, তারা কত কাল ছিল, আল্লাহই তা ভালো জানেন, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর অজ্ঞাত বিষয়ের জ্ঞান তারই। তিনি কত সুন্দর দ্রষ্টা ও শ্রোতা (সুরা:কাহফ, আয়াত: ২৬)।

ইবনু জারির (রহ.) বলেন, সমস্ত সৃষ্ট জীবকে আল্লাহ দেখেন ও তাদের সকল কথা শুনেন। তার নিকট কোনো কিছুই গোপন থাকে না।’ (তাফসিরে ত্ববারি)

এই আয়াতের ব্যাখ্যায় আল্লামা বাগাবি (রহ.) বলেন, সমস্ত সৃষ্টি জীব যেখানেই থাকুক না কেন আল্লাহ তাদের দেখেন এবং তাদের সর্বপ্রকার কথা শ্রবণ করেন। তার দেখার ও শোনার বাইরে কোনো কিছুই নেই। (তাফসিরে ত্ববারি)

৬. কখনই নয়, অতএব তোমরা উভয়ে আমার নিদর্শনসহ যাও, আমি তো তোমাদের সঙ্গে আছি, আমি শ্রবণকারী। (সুরা: শু‘আরা, আয়াত: ১৫)

৭. তারা কি মনে করে যে, আমি তাদের গোপন বিষয় ও গোপন পরামর্শের খবর রাখি না? অবশ্যই রাখি। আমার ফেরেশতারা তো তাদের নিকট অবস্থান করে সব কিছু লিপিবদ্ধ করেন (সুরা: যুখরুফ, আয়াত: ৮০)

৮. হে নবী! তুমি বলে দাও, তোমরা কাজ করতে থাক, আল্লাহ তো তোমাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করবেন (সুরা: তওবা, আয়াত: ১০৫)।

৯. সে কি অবগত নয় যে, আল্লাহ দেখেন? (সুরা: আলাক্ব, আয়াত: ১৪)

১০. যিনি তোমাকে দেখেন যখন তুমি (সালাতের জন্য) দণ্ডায়মান হও এবং দেখেন সিজদাকারীদের সঙ্গে তোমার উঠাবসা। তিনি তো সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ (সুরা: শুআরা, আয়াত: ২১৮-২২০)

একটি কথা প্রত্যেক বান্দার বিশেষভাবে স্মরণ রাখা উচিত, আল্লাহর সঙ্গে সৃষ্ট জীবের কোনো ধরনের সাদৃশ্য করা হারাম। কারণ আল্লাহর সত্ত্বা ও গুণ-বৈশিষ্ট্য এবং সৃষ্ট জীবের গুণ-বৈশিষ্ট্য এক নয়। প্রত্যেকের আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আল্লাহ আমাদের সঠিকভাবে তার পরিচয় লাভ করার এবং সে অনুযায়ী আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

আরও পড়ুন : ‘জয়ী হলে বেতনের অর্ধেক টাকাও জনসেবায় দেব ইনশাআল্লাহ’


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ