আবদুল্লাহ তামিম: আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রাখাইনে স্থাপিত বৌদ্ধগ্রাম উচ্ছেদ করেছে মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা এবং মিয়ানমারের শরণার্থী ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের পুড়িয়ে দেওয়া জমিতে ওই বৌদ্ধগ্রাম স্থাপিত হয়েছিল।
একজন আইনপ্রণেতাকে উদ্ধৃত করে মিয়ানমারভিত্তিক ইরাবতি জানিয়েছে, জাতিসংঘের উদ্বেগের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা সু চির নির্দেশনায় পুলিশ বৌদ্ধগ্রাম উচ্ছেদ করেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতে মিয়ানমারের নিস্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে সোচ্চার অবস্থানের একদিনের মাথায় বৌদ্ধগ্রাম উচ্ছেদের খবর জানা গেল।
রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দিতে এবং তাদের ফেরার সমস্ত পথ বন্ধ করতে আরসার হামলার আগে থেকেই পরিকল্পিত সেনা-অভিযান শুরু হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক চাপের মুখে বিপুল পরিমাণ শরণার্থীকে ফিরিয়ে নিতে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের সঙ্গে প্রত্যাবাসন চুক্তি করতে বাধ্য হয় মিয়ানমার।
বিতর্কিত বৌদ্ধগ্রাম স্থাপনের বিষয়ে গত ৩ জুলাই আইনপ্রণেতা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে এক পরামর্শমূলক সভা করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
উইন বলেন, ওই সভায় বসতির জায়গাগুলোকে ‘বাঙালি সম্প্রদায়ে’র বলে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের বাঙালি হিসেবে অভিহিত করে থাকে।
তাদের দাবি, ব্রিটিশ শাসনামালে ওই এলাকায় কৃষি শ্রমিকের অভাব পূরণের জন্য বাংলাদেশ থেকে এসব মানুষকে নিয়ে আসা হয়েছিল। উইন আরও বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়, নতুন বসতি সম্পর্কে সেস্ট কাউন্সিলর অং সান সু চি’র কাছে অভিযোগ করেছে জাতিসংঘ।
আর এ কারণে তিনি নিয়ম ভঙ্গের কারণে নতুন নির্মিত গ্রাম সরিয়ে নিতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন’। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে বসতি স্থাপনকারীদের কয়েকজন শীর্ষ সদস্যকে তাদের কর্মকাণ্ড বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।
এছাড়া সেখানে বসবাসকারী পরিবারগুলোর মধ্যে কর্তৃপক্ষে পক্ষ থেকে বসতি সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে ছাপানো নির্দেশনাও জারি করা হয়েছে।
তবে বসতি উচ্ছেদের ব্যাপারে জানার জন্য ইরাবতির পক্ষ থেকে সাধারণ প্রশাসন বিভাগের জেলা কর্মকর্তা উ ইয়ে হাতুতের সঙ্গে সোমবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পারা যায়নি।
রোহিঙ্গাদের ১০০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে এডিবি