আওয়ার ইসলাম : আইন প্রণয়নকাজে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সংবিধানে বিশেষ কোটা চালু হয়েছিল ১৯৭২ সালেই। সেই থেকে প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনেই নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন বরাদ্দ থাকছে।
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ ২৫ বছর সংরক্ষিত আসন বহাল রাখতে সংবিধান (সপ্তদশ সংশোধন) বিল-২০১৮ পাস করা হয়।
রোববার (০৮ জুলাই ২০১৮) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। এর আগে বিকেল ৩টার পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।
এসময় সংসদের সভাপতিত্বে ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, জাতীয় পার্টির প্রেসিডেন্ট হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদসহ অধিকাংশ এমপি সংসদে উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে পর্যায়ক্রমে সংবিধানের ৬৫(৩) অনুচ্ছেদ আরও চারবার সংশোধনীর মাধ্যমে নারী আসনের মেয়াদ ও সংখ্যা বাড়ানো হয়। চলতি সংসদের মেয়াদান্তে এই বিধান অব্যাহত রাখতে এই সংশোধনী বিল পাস করা হয়।
বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যমান নারী আসনের মেয়াদ শেষ হবে। ফলে সপ্তদশ সংবিধান সংশোধনী বিল পাস হওয়ায় পরবর্তী সংসদ থেকে তার মেয়াদ ২৫ বছর হবে।
বিলের সংশোধনীর পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট পড়ে ২৯৮টি এবং বিলের বিপক্ষে কোনো ‘না’ ভোট পড়েনি। ফলে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশকৃত আকারে বিলটি পাস হয়।
আরও পড়ুন : নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন আরো ২৫ বছর; আজ বিল