সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ ।। ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১০ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী বিরতিকে কাজে লাগিয়ে মুসলিম ফুটবলারদের ওমরা পালন ধর্ষণের বিচারে শরয়ি আইন থাকলে, কোন শিশু আর ধর্ষিত হতো না: উলামা-জনতা ঐক্য পরিষদ শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় ঈদে নতুন নোট বিতরণ স্থগিত ধর্ষণ এবং নারীর পরিচয় নিয়ে অবমাননায় ১৫১ আলেমের বিবৃতি ১০ম তারাবির নামাজে তিলাওয়াতের সারমর্ম ত্রাণ বন্ধের পর এবার গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করছে ইসরায়েল তারাবিতে ফাইভ জি স্পিডে তেলাওয়াত করবেন না: আজহারী ‘আলেমদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তোলা জিহাদ নয়, সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

মুসাফাহা শেষে হাত বুকে লাগানোর হুকুম কি?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : প্রশ্ন : মুসাফা শেষ করে হাত এনে বুকে লাগানো জায়েজ নাকি নাজায়েজ জানিয়ে বাধিত করবেন।

উত্তর : প্রথমে বিদআতের সংজ্ঞা হাদীস থেকে জেনে নেই। হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন : আমাদের দ্বীনের মাঝে যে ব্যক্তি নতুন বিষয় আবিস্কার করে যা তাতে নেই তাহলে তা পরিত্যাজ্য। {সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-৪৬০৮, সহীহ বুখারী, হাদিস নং-২৫৫০, সহীহ মুসলিম-৪৫৮৯}

এই হাদিসে লক্ষ্য করুন কি কি শর্তে নব আবিস্কৃত বস্তুকে পরিত্যাজ্য বলেছেন নবীজী সাঃ।

১-সম্পূর্ণ নতুন বিষয়। যার কোন সামান্যতম প্রমাণ নবীযুগে বা সাহাবা যুগে নাই এমন বিষয় হতে হবে।

২-দ্বীনী বিষয় হতে হবে। সুতরাং দ্বীনী বিষয় ছাড়া যত নতুন বিষয়ই আবিস্কারই হোকনা কেন তা বিদআত নয়। যেমন বৈজ্ঞানিক আবিস্কার। নতুন নতুন আসবাব ইত্যাদি। এসব বিদআত নয়। কারণ এসব দ্বীনী বিষয় নয়। বরং বৈষয়িক বিষয়।

৩-দ্বীনের মাঝে নতুন আবিস্কার হতে হবে। দ্বীনের জন্য হলে সমস্যা নাই। কারণ দ্বীনের মাঝে নতুন আবিস্কার মানে হল এটা সওয়াবের কাজ। সুন্নাত, ওয়াজিব ইত্যাদী। আর দ্বীনের জন্য হলে সেটা মূলত সওয়াবের কাজ নয়, বরং সওয়াবের কাজের সহায়ক।

যেমন মাদরাসা শিক্ষার একাডেমিক পদ্ধতি নববী যুগে ছিলনা। পরবর্তীতে আবিস্কার করা হয়েছে। এই একাডেমিক পদ্ধতিটি দ্বীনের মাঝে নতুন আবিস্কার নয়, বরং দ্বীনী কাজের জন্য সহায়ক হিসেবে আবিস্কার হয়েছে।

অর্থাৎ দ্বীন শিখার সহায়ক। আর দ্বীন শিখাটা সওয়াবের কাজ। কিন্তু সিষ্টেমটা মূলত সওয়াবের কাজ নয় বরং সহায়ক।

মিলাদ কিয়াম বিদআত। কারণ এটি নতুন আবিস্কার। নববী যুগ বা সাহাবা যুগে ছিল না। ছিল না রাসূল সাঃ এর বলা শ্রেষ্ট যুগেও। সেই সাথে এটিকে দ্বীন মনে করা হয়, সওয়াবের কাজ মনে করা হয় তাই এটি বিদআত।

তাই মুসাফাহা করার পর এমনিতেই যদি হাতকে বুকের সাথে লাগায়, সওয়াবের কাজ বা এটি সুন্নত এমন মনে না করে, তাহলে এটি বিদআত হবে না।

হারাম বা নাজায়েজ হবে না। কিন্তু যদি সওয়াবের কাজ মনে করে, বা সুন্নত মনে করে, বা এটিকে মুসাফাহা সংশ্লিষ্ট সুন্নত মনে করে তাহলে তা বিদআত হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। আর প্রতিটি বিদআতই গোমরাহী।

উত্তর দিয়েছেন : মাওলানা লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

আরও পড়ুন : আযান বা তিলাওয়াত রিংটোন হিসাবে ব্যবহার করা যাবে কি?


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ