শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

রসায়নে যে অবদান রেখেছেন মুসলিম বিজ্ঞানী জাবির ইবনে হাইয়ান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম:  জাবির ইবনে হাইয়ানকে পৃথিবীর সর্বপ্রথম রসায়ন বিজ্ঞানী বলা হয়।

অবশ্য তার পূর্বেও রসায়ন চর্চা ছিল। কিন্তু তার কোনো অস্তিত্ব ছিল না। রসায়নকে সাধারণ মানুষসহ বিদ্ধান সমাজেও ভয়ের চোখে দেখতো।

এমনি এক সময়ে জাবির ইবনে হাইয়ান কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে রসায়নকে চিকিৎসাবিজ্ঞান ও গণিতের সমপর্যায়ে নিয়ে আসেন। জাবির ইবনে হাইয়ানের পুরো নাম আবু আব্দুল্লাহ জাবির ইবনে হাইয়ান আল কুসী।

তিনি আবু মুসা জাবির ইবনে হাইয়ান নামেও পরিচিত। কেউ আবার তাকে ‘আল হারুনী’, ‘আল সুফী’ নামেও অভিহিত করেন। ইউরোপে তিনি জিবার (এবনবৎ) নামে পরিচিত।

তার জন্ম তারিখ নিয়ে বেশ মতভেদ রয়েছে। যতদূর জানা যায় তিনি ৭২২
মতান্তরে ৭৩০ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তার জন্মস্থান সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা না গেলেও জাবির ইবনে হাইয়ানের জীবনীকারদের মধ্যে অন্যতম আল জিলকাদী তার কিতাবুল বুরহান ফি ইলমুল মাজারে উল্লেখ করেছেন, ‘আজাদ বংশীয় জাবির কূফায় জন্মগ্রহণ করেন’।

তার পিতার নাম হচ্ছে হাইয়ান। তিনি ছিলেন তৎকালীন খ্যাতনামা চিকিৎসকদের একজন। বর্ণনা আছে, পিতার মতো তিনিও চিকিৎসা ব্যবসা দিয়ে জীবন শুরু করেন।

তবে তার বিজ্ঞান গবেষণা শুরু হয় আব্বাসীয় খলীফা হারুণ অর রশীদের
রাজত্বকালে ( ৭৮৬-৮৯০ ঈসায়ী)। কূফায় তার বৈজ্ঞানিক গবেষণা চলছিলো। ফিহরিস্তের মতে, তাঁর রসায়নাগারও এখানে স্থাপিত হয়।

তিনিই সর্বপ্রথম নাইট্রিক এসিড এবং সালফিউরিক এসিড আবিস্কার করেন। তিনি চামড়া ও কাপড়ে রং করার প্রণালী, ইস্পাত প্রস্তুত করার পদ্ধতি, লোহা, ওয়াটার গ্রুফ কাপড়ে বার্নিশ করার উপায়, সোনার জলে পুস্তকে নাম লেখার জন্য লৌহের ব্যবহার ইত্যাদি আবিস্কার করেন।

সে মহাবিজ্ঞানী দুই হাজারেরও বেশি গ্রন্থ রচনা করেন। তবে এগুলোর গড় পৃষ্ঠা ৮/১০ এর মতো, এমনকি অনেকগুলোর পৃষ্টা সংখ্যা মাত্র ২টি। তবে তিনি জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কে একটি বই-ই রচনা করেন, যার পৃষ্ঠা সংখ্যা ৩০০।

বিভিন্ন বিষয়ে তার প্রণীত গ্রন্থগুলোর মধ্যে রসায়নে ২৬৭ টি, যুদ্ধাস্ত্রাদিতে ৩০০টি, চিকিৎসাবিজ্ঞানে ৫০০টি, দর্শনে ৩০০ টি, কিতাবুত তাগাদির ৩০০ টি, দার্শনিক ও যুক্তিখন্ডন বিষয়ক ৫০০টি উল্লেখযোগ্য।

রসায়ন বিষয়ক রচনা জাবির ইবনে হাইয়ানকে অমর করে রেখেছে। এ বিষয়ে তাঁর কয়েকটি শ্রেষ্টতম রচনা হলো, ‘কিতাবুর রহমত’, ‘কিতাবুত তাজমী’, এবং ‘চিবাক উশ শরকী’।

জাবিরের রাসায়নিক কার্যাবলী আলোচনা করতে গিয়ে তাঁর জীবনীকারদের মধ্যে এম. আকবর আলী লিখেন, ‘রসায়ন শাস্ত্রকে ব্যবহারিক বিজ্ঞান হিসাবে কাজে লাগিয়ে নিতে যে সমস্ত প্রক্রিয়ার সাহায্য নিতে হয়, জাবির তার প্রায় সবগুলোর সঙ্গেই পরিচিত ছিলেন’।

বিশ্ব বিখ্যাত এ মনীষীর মৃত্যুর তারিখ নিয়েও মতভেদ রয়েছে। যতদূর জানা যায়, তিনি ৭৭৬ মতান্তরে ৮১৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

তিনি পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেও রসায়নবিজ্ঞানে চির স্বরণীয় হয়ে আছেন। বর্তমানে তিনি রসায়ন বিজ্ঞানের জনক।

আধুনিক সভ্যতায় ইসলামের পাঁচ উপহার


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ