শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

মানবাধিকার কাউন্সিল ছাড়ল যুক্তরাষ্ট্র; নেপথ্যে কী?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রকিব মুহাম্মদ 
আওয়ার ইসলাম

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউএনএইচআরসির সদস্য দেশগুলোকে ভণ্ড ও মধ্যপ্রাচ্যে অবৈধ ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের বিরুদ্ধে অবিরাম পক্ষপাতদুষ্টতার কথা বলে মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।

জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিক্কি হ্যালি ওয়াশিংটনে এসে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে পাশে রেখে এ ঘোষণা দেন।

দেশটির ওই দুই কূটনীতিক জোর দিয়ে বলেন, মানবাধিকার প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র সবসময় এগিয়ে থাকবে।

কিন্তু তাদের এ সিদ্ধান্ত বিশ্ব সংস্থাটি ও বহুপাক্ষিক কূটনীতির প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বৈরিতার প্রতিফলন ঘটেছে।

মেক্সিকো সীমান্ত অতিক্রম করে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় চাওয়া বাবা-মায়েদের কাছ থেকে তাদের শিশুদের বিচ্ছিন্ন করতে ওয়াশিংটনের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকারকর্মীরা।

এর পরই নিক্কি হ্যালি ও মাইক পম্পেওর এই ঘোষণা এসেছে।

নিক্কি হ্যালির দাবি, কপট ও স্বার্থপরায়ণ সংস্থাটি মানবাধিকারকে প্রহসনে পরিণত করেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল চরম ইসরাইলবিরোধী বলে গত বছরই সংস্থাটির বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছিলেন হ্যালি।

একই সঙ্গে তিনি বলেছিলেন, সংস্থাটির সদস্যপদের বিষয়টি মূল্যায়ন করছে যুক্তরাষ্ট্র।
২০০৬ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল গঠিত হয়। জেনেভাভিত্তিক এই কাউন্সিলের লক্ষ্য বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার সমুন্নত ও সুরক্ষা।

অধিকারকর্মীরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপে বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও তা সমুন্নত রাখার তৎপরতা ব্যাহত হতে পারে।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস তার মুখপাত্রের মাধ্যমে বিবৃতিতে বলেছেন, এই কাউন্সিলে যুক্তরাষ্ট্রের থাকার বিষয়টিকে অধিকতর শ্রেয় মনে করেন তিনি।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার জায়েদ রাদ আল হুসেইন যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্তকে হতাশাজনক হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তবে খবরটি বিস্ময়কর নয় বলেও মন্তব্য তার।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছে ইসরাইল।

নিক্বি হ্যালি ও মাইক পম্পেও বলেন, বছরজুড়ে কাউন্সিলের সংস্কার ও নিজেদের অপব্যবহার করা সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে বাদ দেয়ার চেষ্টার পর তারা এ সিদ্ধান্তে এসেছেন।
হ্যালি বলেন, মানবাধিকারের সত্যিকার প্রবর্তক হিসেবে কাউন্সিলকে প্রস্তুত করতে এ সংস্কার জরুরি ছিল।

তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে মানবাধিকার কাউন্সিল মানবাধিকার অপব্যবহারকারীদের রক্ষাকবচ ও রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্টতার নোংরা আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। কিন্তু অনুতাপের বিষয়, সংস্কারের জন্য আমাদের আহ্বানে মনোযোগ দেয়া হয়েছে কিনা, তা পরিষ্কার নয়।

নিউইয়র্কভিত্তিক স্বাধীন মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইট ওয়াচ ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক কেনিথ রোথ বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এক পাক্ষিক মানবাধিকার নীতির প্রতিফলন হচ্ছে এ প্রত্যাহার। এতে ইসরাইলি মানবাধিকার লঙ্ঘনকে সমালোচনার মুখ থেকে রক্ষা করা সব কিছুর ওপর অগ্রগণ্য হিসেবে দেখা গেছে।  সুত্র ঃ  এএফপি ও বিবিসি/আরএম

আরও পড়ুন ঃ জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনকে ভণ্ড বলে আখ্যা দিলো যুক্তরাষ্ট্র


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ