শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ভারতের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ জয়পুরহাটে ১৫৫ মণ সরকারি চাল সহ আটক দুই তাপপ্রবাহ নিয়ে নতুন সংবাদ দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর রাঙামাটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর

ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার বিধান ও নিয়ম

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম: ঈদুল ফিতরের নামাজ- ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ মানে খুশি। বছর ঘুরে মুসলিম পরিবারে আবার উপস্থিত পবিত্র ঈদুল ফিতর। মুমিন রোজাদার বান্দার জন্য খুশির দিন এই ঈদ।

হজরত ওয়াহাব ইবনে মুনাব্বিহ (রা.) ঈদের দিন কাঁদছিলেন। কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, আজ খুশির দিন ওই ব্যক্তির জন্য, যার রোজা কবুল হয়েছে। ঈদুল ফিতর হলো পুরস্কার লাভের দিন।

এদিন একদল ফেরেশতা দাঁড়িয়ে যান এবং বলতে থাকেন, হে মুসলিম সম্প্রদায়! তোমরা দয়াময় প্রভুর দিকে ছুটে চলো। তিনি তোমাদের কল্যাণ দান করবেন। তিনি তোমাদের পুরস্কার দেবেন।
ঈদুল ফিতর কেবল একটি খুশির বা আনন্দ উদযাপনের দিন নয়। ঈদ একটি ইবাদাতের নাম। এ দিনটি আমাদের জন্য এক বিরাট নিয়ামত। এ দিনেও বিশেষ কিছু ইবাদাত বা আমল রয়েছে এবং রয়েছে এসব আমল বা ইবাদাতের বিশেষ প্রতিদান। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পাঁচটি রাত জেগে ইবাদাত করবে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হবে।
রাতগুলো হলো-
১. জিলহজের রাত।
২. আরাফার রাত।
৩. ঈদুল আজহার রাত।
৪. ঈদুল ফিতরের রাত,
৫. মধ্য শাবানের রাত।
সুতরাং ঈদুল ফিতরের রাতে ইবাদত করা খুবই পুণ্যময় কাজ এবং এ ব্যাপারে মুমিন বান্দাদের একান্তভাবে সতর্ক থাকা উচিত।

ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার বিধান ও নিয়ম : ঈদুল ফিতর বছরে দুই বার আসে। এদিনে বিশেষভাবে নামাজ আদায় করার জন্য আদেশ করেছেন নবীজি (সা.)। যেহেতু বছরে মাত্র দুইবার ঈদের নামাজ পড়তে হয়, তাই এই নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে অনেককেই জটিলতা ও দ্বিধা-সংশয় সৃষ্টি হয়। আর এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক।

এ জন্য ঈদের নামাজের আগে এই নামাজের নিয়ম-কানুন ও আদায় পদ্ধতিটি একটু ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত। ঈদের নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে অনেকের ধারণা, নামাজের নিয়ত আরবিতে করা জরুরি। এমনটি ঠিক নয়। যেকোনো ভাষায়ই নামাজের নিয়ত করা যায়। নিয়ত মনে মনে করাই যথেষ্ট।

ঈদের দিন ইমামের পেছনে কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে মনে মনে এই নিয়ত করতে হবে যে, আমি অতিরিক্ত ছয় তাকবিরসহ এই ইমামের পেছনে ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করছি। এরপর উভয় হাত কান বরাবর উঠিয়ে আল্লাহু আকবার বলে হাত বাঁধতে হবে। হাত বাঁধার পর ছানা অর্থাৎ সুবহানাকা আল্লাহুম্মা….শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।
এরপর আল্লাহু আকবার বলে হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে ছেড়ে দিতে হবে। দ্বিতীয়বারও একই নিয়মে তাকবির বলে হাত ছেড়ে দিতে হবে। ইমাম সাহেব তৃতীয়বার তাকবির বলে হাত বেঁধে আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহসহ সুরা ফাতিহা পড়বেন এবং সঙ্গে অন্য যে কোনো সুরা তিলাওয়াত করবেন। এ সময় মুক্তাদিরা নীরবে দাঁড়িয়ে থাকবেন। এরপর ইমাম সাহেব নিয়ম মতো রুকু-সিজদা সেরে দ্বিতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়াবেন। মুক্তাদিরা ইমাম সাহেবকে অনুসরণ করবেন। দ্বিতীয় রাকাতে ইমাম সাহেব প্রথমে সুরা ফাতিহা পাঠ করবেন এবং সঙ্গে অন্য সুরা পড়বেনঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার বিধান ও নিয়ম। এরপর আগের মতো তিন বার তাকবির বলতে হবে।

প্রতি তাকবিরের সময়ই উভয় হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে ছেড়ে দিতে হবে। চতুর্থ তাকবির বলে হাত না উঠিয়েই রুকুতে চলে যেতে হবে। এরপর অন্যান্য নামাজের নিয়মেই নামাজ শেষ করে সালাম ফেরাতে হবে।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ