সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ ।। ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১০ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী বিরতিকে কাজে লাগিয়ে মুসলিম ফুটবলারদের ওমরা পালন ধর্ষণের বিচারে শরয়ি আইন থাকলে, কোন শিশু আর ধর্ষিত হতো না: উলামা-জনতা ঐক্য পরিষদ শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় ঈদে নতুন নোট বিতরণ স্থগিত ধর্ষণ এবং নারীর পরিচয় নিয়ে অবমাননায় ১৫১ আলেমের বিবৃতি ১০ম তারাবির নামাজে তিলাওয়াতের সারমর্ম ত্রাণ বন্ধের পর এবার গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করছে ইসরায়েল তারাবিতে ফাইভ জি স্পিডে তেলাওয়াত করবেন না: আজহারী ‘আলেমদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তোলা জিহাদ নয়, সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

রমজানে স্বাস্থ্য ভালো রাখার ১০ উপায়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম:  সাধারণত রোজায় অসুস্থ মানুষও সুস্থ থাকেন আর যে কোনো মানুষই চাইলে সুস্থ থাকতে পারেন তবে সেটা অবশ্যই সঠিক নিয়ম মেনে চলার পর। রমজান মাসে ভালো থাকার জন্য কিছু স্বাস্থ্য ও পুষ্টি পরামর্শ দিচ্ছি যা খাদ্যাভ্যাস ও দৈনন্দিন জীবনযাপন প্রণালীর সামান্য কিছু পরিবর্তন এনে তা মেনে চললে স্বাস্থ্য ভালো থাকার পাশাপাশি পুষ্টিও নিশ্চিত হবে।

অনেকেই রোজায় খুব অলস জীবন যাপন করেন। যার ফলে ওজন বেড়ে যায়। তাই একটু কর্মক্ষম থাকা উচিত। অতিরিক্ত ক্যালরি ক্ষয় করার জন্য ইফতারের পর একটু হাঁটলে খাবারগুলো ভালো ভাবে হজম হয়।

সবসময় যারা ব্যায়াম করেন তারা রোজায় অনেক সময় বুঝতে পারেন না ঠিক কখন করবেন। তারা ইফতারের আগে ব্যায়ামের কাজটা সেরে নিতে পারেন। যেন ব্যায়াম শেষ করার কিছুক্ষণ পরই ইফতার করতে পারেন এবং শরীরকে হাইড্রেট করে নিতে পারেন।

অনেকেরই রোজার সময় ইফতারে অনেক বেশি খাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয় যার ফলে ওজন বৃদ্ধি পায়। তাই ফল ও সবজির সমন্বয়ে তৈরি স্বাস্থ্যসম্মত ইফতার করা, মিষ্টি পানীয় যতদুর সম্ভব এড়িয়ে চললে এবং কর্মব্যস্ত থাকলে সুস্থ থাকা ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

রোজায় স্বাস্থ্যসম্মত ইফতার সুস্থতার জন্য খুবই জরুরি। দুইটি খেজুর, এক গ্লাস পানি, বাসায় তৈরি যেকোনো ফলের জুস, এক বাটি গরম স্যুপ, সালাদ এবং কিছু পরিমান শর্করা যেমন ভাত, পাস্তা বা আলুর তৈরি কিছু খাবার থাকলে ভালো, সেই সাথে মাংস, মুরগি বা মাসের তৈরি কিছু খাবার রাখতে পারেন। তবে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।

ইফতারে মাগরিবের নামাজের আগে সব খাবার এতো দ্রুত খাওয়া সম্ভব হয়না তাই প্রথমে খেজুর, স্যুপ, ফল, সালাদ ইত্যাদি খেয়ে নামাজের পরে অন্য খাবার খেলে এই সময়ের মাঝে খাবারগুলো হজম হয়। এর ফলে বেশি খাবার খেয়ে ফেলার অস্বস্তি থাকে না।

রোজায় সেহেরীর খাবার অনেকেই খান না, যা ঠিক নয়। কারন সেহেরীর খাবারটা সারাদিনের রোজাকে সহজ ও সহনীয় করতে এবং জীবনীশক্তি ও কাজের শক্তি বজায় রাখার জন্য অত্যাবশ্যকীয়। তাই এই সময়ের খাবারে ভাত, রুটি বা ধীরে ধীরে শোষিত হয় এমন শর্করা সমৃদ্ধ খাবার নিশ্চিত করুন।

বিভিন্ন লবন জাতীয় খাবার ও টিনজাত বা প্রসেসড খাবার, লবনাক্ত বাদাম, আচার, অতিরিক্ত ঝাল খাবার ইত্যাদি না খাওয়াই ভালো কারন এই গুলো খেলে সারাদিন তৃষ্ণা অনুভব করবেন। এছাড়া অন্যান্য খাবারে লবনের পরিমান কমিয়ে আনতে চেষ্টা করুন এর পরিবর্তে খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন সবজি ও ভেষজ মশলা ব্যবহার করুন।

রোজার সময় যারা রক্তের শর্করার মাত্রা কমে যাওয়ার জন্য মাথা ব্যাথা করে বা মাথা ঘোরায় তারা ইফতারের শুরুতেই ২-৩ টি খেজুর খেয়ে নিতে পারেন, ফলে তারা কিছুটা সুস্থ বোধ করবেন।

ইফতার ধীরে ধীরে সময় নিয়ে চিবিয়ে খেতে হবে। যার ফলে মিষ্টি জাতীয় খাবার ও অন্য খাবার বেশি খাওয়া হবে না।

চেষ্টা করুন রোজায় প্রতিদিনের খাবারে অল্প পরিমান খেজুর, বাদাম ও শুকনো ফল রাখতে যা সারাদিনের প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদানের পাশাপাশি শরীরকে সতেজ ও জীবনীশক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করবে।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ