আবদুল্লাহ তামিম: স্বাস্থ্যসেবার মানের দিক দিয়ে ভারতের চেয়ে এখনও এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা পিটিআই ও জিও টিভির।
গত বছরের তুলনায় র্যাটিংয়ে আরও ৬ পয়েন্ট উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। এদিকে কাতার, ওমান, তুরস্ক, ইরান ও সৌদি আরব, শ্রীলংকা,মালদ্বীপ ও ভুটানের মতো দেশ থেকেও স্বাস্থ্যসেবায় পিছিয়ে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী দেশ ভারত।
বুধবার বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন মেডিকেল জার্নাল দ্য লানসেট এ গবেষণা জরিপ প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সারা বিশ্বের ১৯৫টি দেশের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবার মান ও সহজপ্রাপ্যতার দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৩তম।
গত বছরের ১৯ মে প্রকাশিত তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৩৯তম। অর্থাৎ, বাংলাদেশ গত বছরের তুলনায় এবার আরও ৬ পয়েন্ট উন্নতি করেছে। আর ভারতের অবস্থান সেখানে ১৪৫। গত বছর তাদের অবস্থান ছিল ১৫৪।
ল্যানসেট গবেষণায় দেখা যায়, ১৯৫ টি দেশের মধ্যে সূচকের হিসাবে স্বাস্থ্যসেবার মানের দিক দিয়ে বিশ্বের শীর্ষস্থানে রয়েছে আইসল্যান্ড। সবার নিচে রয়েছে সেন্টার আফ্রিকান রিপাবলিকান।
তালিকায় সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা ও গুণগত মানে দ্বিতীয় নরওয়ে, তৃতীয় ন্যাদারল্যান্ড, চতুর্থ লুক্সেমবার্গ, পঞ্চম অস্ট্রেলিয়া, ষষ্ঠ অবস্থানে ফিনল্যান্ড, সপ্তম সুইজারল্যান্ড, অষ্টম সুইডেন, নবম ইতালি, দশম এনডোরা।
পরে পর্যায়ক্রমে আয়ারল্যান্ড, জামাপান, অস্ট্রিয়া, কানাডা, বেলজিয়াম, নিউজিল্যান্ড, ডেনমার্ক, জার্মানি, স্পেন, ফ্রান্স।
তালিকায় ২০তম তালিকায় রয়েছে সিঙ্গাপুর। চীনের অবস্থান ৪৮তম। শ্রীলংকা রয়েছে ৭১তম অবস্থানে। বাংলাদেশ ১৩৩তম ও ভুটান ১৩৪তম।
তবে নেপাল (১৪৯তম), পাকিস্তান (১৫৪তম) ও আফগানিস্তানের (১৯১তম) চেয়ে ভাল অবস্থানে আছে ভারত।
সূচকে পর্যায়ক্রমে সবচেয়ে বাজে অবস্থানে রয়েছেমধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র (১৮.৬ পয়েন্ট), সোমালিয়া (১৯.০ পয়েন্ট), গিনি বিসু (২৩.৪ পয়েন্ট), চাদ (২৫.৪ পয়েন্ট) ও আফগানিস্তান (২৫.৯ পয়েন্ট)।
প্রসঙ্গত, গত বছরেরর ১৯শে মে ১৯৫টি দেশের The Healthcare Access and Quality Index র্যাংকিং প্রকাশ করে। র্যাকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৯ তম (স্কোর ৫২)। প্রতিবেশী দেশ ভারত আমাদের চেয়ে বেশ পিছিয়ে। তাদের অবস্থান ১৫৪ তম (স্কোর ৪৫)।
পাকিস্তানের অবস্থান ১৬০ তম (স্কোর ৪৩)। দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে এগিয়ে ছিল শ্রীলংকা, ৮৫ তম (স্কোর ৭৩)। আর ওই সময় র্যাংকিংয়ে সবার উপরে ছিল সুইজারল্যান্ড। এরপরেই যথাক্রমে অবস্থান করেছিল সুইডেন ও নরওয়ে।
১৯৯০ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত সময়ে দেশগুলোর চিকিৎসাসেবার মানের ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
সূত্র: বার্তা সংস্থা পিটিআই ও জিও টিভির
আরো পড়ুন- যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ হলে শুধু কাজা ওয়াজিব হয়