শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা ইসলামি লেখক ফোরামের বৈঠক অনুষ্ঠিত, আসছে নতুন কর্মসূচি সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে উত্তপ্ত খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি

রমজানে মানবেতর জীবন যাপনে রোহিঙ্গারা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম: নির্যাতনের মুখে  দেশ থেকে পালিয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের অনেককে এবার অন্যরকম রমজান মাসের মুখোমুখি হতে হচ্ছে৷ তীব্র গরম তাদের জন্য নানারকম সমস্যা দেখা দিয়েছে। আর আগের চেয়ে সাহায্য খুবই কমে গেছে। ফলে এখন খাবার খুব কম পায় রোহিঙ্গারা।

default
উপরের এই ছবির ছেলেটির নাম হাশিম৷ এএফপির সঙ্গে আলাপকালে ১২ বছরের ছেলেটি নিজের দেশে রোজার সয়মগুলোতে তার সুখের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়েছে৷
পরিবারের সবাই মিলে একসঙ্গে ইফতার করা, মেন্যু হিসেবে মাছ-মাংসের বিশেষ খাবার, যা শুধু রোজার মাসেই রান্না করা হয়, ঈদের সময় উপহার পাওয়া, নামাজের আগে মাঠে গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, এসব কথা জানিয়েছে সে৷
default
শরণার্থী শিবিরে থাকা শিশুদের জন্য এবারের রোজা স্মরণীয় হবে, তবে তা সম্পূর্ণ ভুল কারণে, মনে করেন কক্সবাজারে কর্মরত সেভ দ্য চিলড্রেন কর্মকর্তা রবার্টা বুসিনারো৷ এখানে শিশুদের খেলার জন্য শুধু ময়লা আর কাদা ছাড়া কিছু নেই৷

default

গরমসহ অন্যান্য সমস্যা থাকা সত্ত্বেও রোহিঙ্গারা রোজা রাখছেন বলে জানান ইমাম মুহাম্মদ ইউসুফ৷ ‘সূর্যের প্রচণ্ড তাপ থাকায় কঠিন হবে, তবে তবুও আমরা রোজা রাখব,’ বলেন তিনি৷

default

সুখের কথা বলার পরপরই হাশিম বর্তমানে ফিরে আসে৷ এবারের রমজান সুখের হবে না তা বুঝতে পেরে কিছুটা দুঃখিত হয় সে৷

অবশ্য পরক্ষণে অন্যদের কথা ভেবে নিজেকে কিছুটা ভাগ্যবান ভাবতে শুরু করে৷ কারণ সে তো তাও পরিবারের সঙ্গে আছে, এমন অনেক শিশু আছে যাদের সঙ্গে পরিবারের কেউ নেই, একেবারে একা৷

default

শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের কাজের অনুমতি নেই৷ ফলে তাদের আয়ও নেই৷ তাই ইফতার আর সেহরিতে ভালোমন্দ খাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও তা পূরণের উপায় নেই৷

ঈদের সময় কাউকে উপহার দেয়া কিংবা পাওয়া, কোনোটারই সম্ভাবনা নেই৷ ত্রাণ সংস্থার দেয়া খাবার আর জামাকাপড়ই তাদের একমাত্র সম্বল৷

default

আরেকটি সমস্যার কথা জানিয়েছে হাশিম৷ তীব্র গরম৷ ‘আমরা এখানে বার্মার মতো রোজা করতে পারব না, কারণ খুব গরম৷ এখানে কোনো গাছ নেই৷ ত্রিপলও গরম৷ দিনের বেলায় এটি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে৷ ফলে রোজা রাখা খুব কঠিন৷’

সূত্র: এএফপি, সৌদি গ্যাজেট, ডয়েচে ভেল

আরো পড়ুন- রমজানের শুরুতে যে আমল করতেন আল্লামা কাশ্মীরি রহ.

-আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ