শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা ইসলামি লেখক ফোরামের বৈঠক অনুষ্ঠিত, আসছে নতুন কর্মসূচি সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে উত্তপ্ত খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি

সোশ্যাল মিডিয়া বাচ্চাদের ‘মানসিক সমস্যা তৈরি করছে’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা মোবাইল ফোন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুব বেশি সময় কাটাচ্ছে। ফলে তাদের নিয়ে উদ্বেগের কথা চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞেরা আলোচনায় আনছেন।

এ প্রযুক্তি আশক্তি বিশ্বের জন্য একটি বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে এটি সবাইকে ভাবিয়ে তুলছে। আর এই সমস্যা সমাধানে চিন্তা-ভাবনা শুরু করে দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনটিতে রঙ্গন চ্যাটার্জী নামের একজন চিকিৎসক বলেছেন, কিশোর-কিশোরীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার এবং তাদের মানসিক সমস্যার মধ্যে একটা সম্পর্ক আছে। এটি এখন ধারণা নয়, প্রমাণিত সত্য।

তার কাছে এর প্রমাণও রয়েছে।সমস্যাটি এতোটাই জটিল আকার ধারণ করেছে যে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একদল শিশু কল্যাণ বিশেষজ্ঞ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতার কাছে একটি চিঠি পাঠান। তাতে ‘মেসেঞ্জার কিডস’ অ্যাপটি বন্ধ করে দেবার জন্য মার্ক জাকারবার্গের কাছে আহ্বান জানান তারা।

বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, তাদের কাছে তথ্যপ্রমাণ রয়েছে যে, সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের কারণে বাচ্চাদের অস্বাভাবিক সব মানসিকতা পরিবর্তন হচ্ছে।

এমনকি, ১০ বছরের মেয়েরা পর্যন্ত দৈহিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগছে। সোশ্যাল মিডিয়া যেহেতু বাচ্চাদের মানসিক সমস্যা তৈরি করছে, তাই ১৩ বছরের কম বয়সীদের এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহারে উৎসাহিত করাটা ঠিক হচ্ছে না। একি এক ধরণের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা।

ডা. রঙ্গন চ্যাটার্জী বলছেন, ১৬ বছরের এক কিশোর হাত-পা কাটার পর তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পাঠানো হয়েছিল। তিনি তার চিকিৎসা করেছেন।

তিনি বলেন, তার এ সমস্যার কারণে প্রথমে বিষণ্ণতা রোধের ওষুধ দেবো ভেবেছিলাম। কিন্তু তার সাথে বিস্তারিত কথা বলার পর মনে হয়েছে, তার সমস্যার মূলে বিষণ্ণতা নয়, সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের স্বাস্থ্যগত নেতিবাচক প্রভাব।

২০১৭ সালে ১১ থেকে ১৫ বছর বয়সী দেড় হাজার কিশোর-কিশোরীর ওপর একটি জরিপ চালায় রয়াল সোসাইটি অব পাবলিক হেলথ। তার ফলাফলে বলা হয়, ওই সব কিশোর-কিশোরীদের মনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে স্ন্যাপচ্যাট এবং ইনস্টাগ্রাম। এসব তাদের ভেতরে হীনমন্যতা এবং দুশ্চিন্তা তৈরি করেছে।

আরো পড়ুন- পূজার ছুটি চেয়ে হিন্দু শিক্ষক পেলেন হজে যাওয়ার ছুটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ