শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা ইসলামি লেখক ফোরামের বৈঠক অনুষ্ঠিত, আসছে নতুন কর্মসূচি সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে উত্তপ্ত খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা

জমিরের বাইসাইকেল সমানতালে চলবে জল-স্থলে!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বাইসাইকেল যদি সড়কে চলার পাশাপাশি পানিতে চলে তাহলে কিছুটা অবাক হওয়ার কথা। হ্যাঁ, সবাইকে অবাক করে দিতেই জলে স্থলে সমান গতিতে চলতে সক্ষম এমন পায়ে চালিত বাইসাইকেল তৈরি করেছেন ফরিদপুরের প্রত্যন্ত গ্রামের যুবক জমির হোসেন।

মোটরচালিত বাইসাইকেল, স্বয়ংক্রিয় চার্জিং ভ্যান রিক্সার পর এবার তিনি উদ্ভাবন করলেন উভযান বাইসাইকেল, যা পানিতে ঘন্টায় ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে। মূলত গ্রামাঞ্চলে যেখানে নদী কিংবা খালের উপর সেতু নেই সেসব জায়গায় এই সাইকেল বেশ কাজে লাগবে।

উদ্ভাবক জমির হোসেন বলেন, পানি দিয়ে চলার জন্য পায়ে চালিত প্যাডেলের সাথে পেনিয়াম সেট করে পেছনে স্পিডবোটের পাখার আদলে শক্তিশালী পাখা লাগানো হয়েছে। পায়ের প্যাডেল একপাক ঘুরালে পাখাটি কমপক্ষে ৫০ বার ঘুরবে। আর এতে বেশ স্পিডে পানিতে চলবে বাইসাইকেলটি।

সাইকেলটিকে পানিতে ভাসিয়ে রাখতে ব্যবহার করা হয়েছে নমনীয় বায়ুভর্তি টিউব। যেমনটি মাইক্রোবাসের চাকার টায়ারের ভেতরের টিউব। যখন বাইসাইকেলটি সাধারণ রাস্তায় চলবে তখন বাতাস বিহীন টিউব বাইসাইকেলের পেছনের একটি বাক্সে থাকবে।

যখন বাইসাইকেলটি পানিতে চলবে তখন শুধু দুটি টিউবে হাওয়া দিয়ে বাইসাইকেলের সাথে নাটবোল্ট লাগিয়ে ফেলা যাবে মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে।

এছাড়া স্থায়ীভাবে পানি দিয়ে চালানো বাইসাইকেলটিতে টিউবের পরিবর্তে পিভিসি পাইপ দিয়েও একইভাবে ব্যবহার করা যাবে। এটি বানাতে খরচ হবে প্রায় ১২ হাজার টাকার মতো। জমির হোসেন বলেন, সাইকেলের চালক যদি সাঁতার না জানেন তাতেও সমস্যা নেই।

সেফটি বেল্ট থাকায় চালক সিট থেকে পড়ে গেলেও পানিতে ভেসে থাকতে পারবেন। এই সাইকেলটির পরীক্ষামূলক চালনার সময় পুকুর পাড়ে শতশত উৎসুক শিশু, নারী-পুরুষ ভিড় জমায়।

তিনি বলেন, আমার বাবা সামান্য ভ্যানচালক। তাই আমার লেখাপড়ার পাশাপাশি মা-বাবাকে নিয়ে সংসার চালানোর পর যা কিছু অবশিষ্ট থাকে তা দিয়ে কিছু তৈরী করার চেষ্টা করি। ইলেকট্রিক কাজ ও রিক্সাভ্যান মেরামত করে সংসারে অর্থদিয়ে সহযোগিতা করতে হয়। জমির বলেন, যদি কেউ আমাকে সহযোগিতা করতো তাহলে আমি আরও অনেক কিছু তৈরী করতে পারতাম।

এইচজে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ