ওমর ফাইয়ায: সম্মানিত মানুষদের সাথে আচরণের ক্ষেত্রে যেহেতু আদব দেখানো ওয়াজিব তাই আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান ও আদব দেখাতে হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আল্লাহর প্রতি আদবের অনেকগুলো প্রকার আছে:
১. তাঁর শরিয়তের পরিপূর্ণ অনুসরণ; আদিষ্ট বিষয়াবলী পালন এবং নিষেধকৃত বিষয়াবলী বর্জন।
২. শরিয়তের কোনো বিধানের বিপক্ষে যুক্তি পেশ করা থেকে বিরত থাকা। আল্লাহ বলেন,
وَمَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ وَلَا مُؤْمِنَةٍ إِذَا قَضَى اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَمْرًا أَنْ يَكُونَ لَهُمُ الْخِيَرَةُ مِنْ أَمْرِهِمْ
“কোন মুমিন পুরুষ কিংবা নারীর উচিৎ নয় আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের দেয়া ফায়সালার উপর নিজস্ব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।” সূরা আল-আহযাব : ৩৬
আল্লাহ আরো বলেন,
إِنَّمَا كَانَ قَوْلَ الْمُؤْمِنِينَ إِذَا دُعُوا إِلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ لِيَحْكُمَ بَيْنَهُمْ أَنْ يَقُولُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا
“মুমিনদের কথাতো এমনই হবে যে, যখনই তাদের মধ্যকার কোন ফায়সালার জন্য তাদেরকে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের দিকে আহ্বান করা হবে, তখন তারা বলবে: শুনলাম এবং মানলাম।” সূরা-নূর-৫১
৩. নেআমাতের শুকরিয়া আদায় করা এবং তার প্রশংসা করা।
৪. তাঁকে বেশী বেশী স্মরণ করা।
৫. তার কাছে অধিক পরিমাণে দোআ করা।
৬. সব কাজেই তাঁর কাছে আশ্রয় গ্রহণ করা।
৭.তাঁকে ভালবাসা।
৮. তাঁর সম্পর্কে সুধারণা পোষণ করা।
৯.তাঁর শাস্তিকে ভয় করা, তাঁর কাছে সওয়াবের পুরস্কারের আশা করা।
আরো পড়ুন- সৌদি আরবে গতকালের ‘দুর্ঘটনা’র পর বিশেষ সতর্কতা