কুন্দুজ
আমরা কুন্দুজের বাতাস খেয়ে বড় হয়েছিলাম
আফগানের মরুময় প্রত্যেকটা প্রান্তর আর পাহাড়গুলো
আমাদের নিভৃতে বসা ইবাদত দেখত
আমাদের বয়সগুলো উড়েছিল পাহাড়ে লেগে থাকা শীতল বরফের মতোই।
আমরা কোনওদিন কাউকে হত্যা করিনি
আমরা স্রষ্টর উপাসনাই করতাম শুধু
অথচ!
তোমরা, তোমাদের অবতারের বেদী পুড়িয়ে দিলে
সিনাগগে রাখা পবিত্র জল খেয়ে শপথ করলে
আমরা মানুষ হত্যা কর।
আমরাই মনুষ্য ঈশ্বর। আমাদের রক্ত দরকার
উড়ে গেছে
নিশীথ এক আলাপন মরে যায় তমাল পাতায়
কোথা হতে দুটো কথা ভেসে এলো পাখির ডানায়
কি এক অসুর বাঁধা দেয় হৃদয়ে
গভীর অন্ধকারে
ধান ক্ষেত কেঁপে ওঠে পেঁচার পাখায়
আলপথ হেঁটে এক এক হয়ে নিঃশ্বাস নামে
স্পষ্ট শব্দরা গীতের শরীর হয়ে
কোথাকার মেয়ে কবে এসেছিল নিঝুম পল্লীর গাঁয়
মলিন চোখের পাতায় জমেছিল জল
একফাঁকে ভেসে গেল পদ্মায়
পুঁইশাকের ডগায়
দেখেছি তারে ইথারে ইথারে
সেই দেখা দিন হতে আজকের পর
দূর থেকে কোকিলের চোখের মতোন
উৎসুক মৃন্ময়ী পুতুলের চোখে
কোথায় যে উড়ে গেল মেয়ে
অবিকল গাঙচিল হয়ে
জবা ফুল কাটা মনের ওপারে
শিউলির মালা শুকায়ে আছে হলুদ
ডেড সি,আরব সাগরের পাড়ে
কোথায় খু্ঁজিনি তারে!
পৌষের ভেজা কুটার মাঠে
কোথায় যে উড়ে গেল মেয়ে
অবিকল গাঙচিল হয়ে
নাট্য সংলাপ
উজির!
আজ্ঞে! হুজুর
কি হচ্ছে আজকাল?
কোথায়? কিছুই না হুজুর।
তা বাতাস কেমন ভারী ঠেকে।
ঐতো দু'চারটে নরবলি, কয়েকশ ধর্ষণ আর অত্যাচারের আওয়াজ।
কি বলছো! হ্যাঁ! আমার রাজ্যে এসব।
সামন্ত -পেয়াদা কই?
সেনাপতি কোথায়?
আজ্ঞে!
ওরা সব বিশ্রামে।
শুনেছি সেনাপতি নপুংসক হয়ে গেছে।
দেশে রাজ্যসভা থেকে আগুন লাগবে।
ও! এই কথা।
তাহলে আসো আমাদের হত্যার ফরমান জারি করি।
পৃথিবী এমন অধিপতিদের করুণা করে মনে রাখে।
আর শোনো।
জ্বি! আজ্ঞে।
গণতন্ত্রের পতাকাটা পুড়িয়ে দাও।
এসএস
আরো পড়ুন : কবিতার ভবিষ্যত; একটি সিদ্ধান্তহীন বোঝাপড়া