ছয় ঋতুর বাংলাদেশ
কিবরিয়া ইয়াকুব
গ্রীষ্ম এলো আনলো খড়া
গরম রোদে ক্ষিপ্ত ধরা
ছোট্ট পাখির তাইতো তাড়া
উড়ে যাবে কোন সুদূরে
মিলবে যেথায় ঘর
গ্রীষ্ম এলে ম্লান করে দেয়
সবুজ চরাচর
বর্ষা তাহার বৃষ্টি মেঘে
বাদল সদা ঝড়ায় রেগে
ঝড় তুফানে প্রচুর বেগে
নেয় উড়িয়ে গাছগাছালি
ঘরের টিনের চাল
বর্ষা এলে ভরে থাকে
নদি নালা খাল
শরৎ সাজে শুভ্র কাঁশে
মেঘের খেলা নিল আকাশে
মধুর দোলায় মন টা হাসে
নতুন সাজে প্রকৃতি সব
রয়না কোথাও গ্লানি
শরৎ টাকে তাই বলা হয়
সকল ঋতুর রাণি
হেমন্ত তার আমেজ ভারি
ক্ষেতে সোনা সারি সারি
দেয় ভরিয়ে গোলা বাড়ি
কৃষক মজুর ব্যস্ত থাকে
কাটতে সোনার ধান
এমন ঋতু আমার দেশে
প্রভুর অশেষ দান
শীত ঋতু সে নিজ সুবাসে
আবাস ছড়ায় কনকনে সে
শিশির ঝড়া স্নিগ্ধ ঘাঁসে
প্রকৃতি সব ঝিম ধরে যায়
মুগ্ধ আমার মন
পিঠার ঋতু শিত টা যেনো
আমার প্রিয়জন
বসন্ত সে ফুলের ক্ষণে
দেশ জুড়ে সব পাহাড় বনে
আপন সুবাস ছড়ায় প্রাণে
হাসছে ভ্রমর মৌ পাখিরা
মাতানো সব আজ
ফুল পাখিদের বসন্ত যে
সকল ঋতুর রাজ
ঘুরছে সদা ঋতুর চাকা
এক সুবাসে যায় না থাকা
ছয় টি ঋতুয় দেশটা ঢাকা
নানান রঙে ঢঙে ভরা
নানান রকম বেশ
হাজার শোভা আভায় গড়া
হাজার পরিবেশ
চির শ্যামল মাতৃ ভূমি
সবুজ বাংলাদেশ