শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা

ইসলামি খেলাফতের পতনে যে ধ্বংসলীলা দেখতে হয়েছে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম: মহানবী সা. এর ইন্তিকালের পর শুরু হয় খেলাফত। খেলাফত বা Caliphate সরকারের ইসলামি রুপ যা মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক একতার প্রতিনিধিত্ব করে। এই ধরণের শাসন ব্যবস্থার সরকার প্রধানকে খলিফা বলা হয়। ইসলামের পরিভাষায় বলা হয় “খলিফাতু রাসূলুল্লাহ বা Successor of Messenger of God বা খলিফা (Caliph)”।

১৯২৪ সালের ৩ মার্চ পতন হয়েছে উসমানি খেলাফতের ।ইতোমধ্যেই তিরানব্বই বছর অতিবাহিত হয়ে গেছে খেলাফত পতনের।

মুসলিম বিশ্বে চালানো গণহত্যার ইতিহাস অনেক দীর্ঘ। ১৯২৪এর পর সর্বপ্রথম ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিন দখল করল সন্ত্রাসী ইহুদিরা । এতে এ যাবত আনুমানিক শহিদ হয়েছেন, ১৯ লাখ মুসলমান । উদ্বাস্তু হয়েছেন প্রায়৫০ লাখ মুসলমান ।

১৯৪৭ সালে যখন পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা হয় তখন নিহত হয়েছিলেন প্রায় ১ কোটি মুসলমান । ইটালি লিবিয়া আক্রমণের সময় শহিদ হন প্রায় ৫ লাখ মুসলমান ।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ জন্মের সময় নিহত হয়েছেন আরো  প্রায়  পনের-বিশ লাখ মুসলমান। চেচনিয়ায় এ যাবত শহিদ ৫ লাখ মুসলমান।বসনিয়ায় ১০ লাখ।বার্মায় ১৫ লাখ মুসলমানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।

আফগানিস্তানে রাশিয়া-আমেরিকা মিলে ২৫ লাখ মুসলমানকে হত্যা করেছে এ ৯৩ বছরে। ইরাকে ইরান- আমেরিকার সাথে কয়েকবারের লড়াইয়ে নিহতের সংখ্যা ১৫ লাখেরও বেশি ।

জিংজিয়াংয়ে ১৫ লাখ। ফিলিপাইনে ৫ লাখ মুসলিম নিধন হয়েছে। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ৩০ লাখের মতো শহিদ হয়েছেন মুসলমান ।

কাশ্মিরে ৫ লাখ আর ভারতে  ১০ লাখ। বুলগেরিয়া, কসাভো, আলবেনিয়া সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আরো ১০ লাখ মুসলমান শহিদ হয়েছেন। সিরিয়ায় বাশারের বাবা হাফিজের আমল থেকে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ মুসলমান শহিদ হয়েছে।

এছাড়া ইয়েমেন, লেবানন, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তানসহ বিভিন্ন মুসলিম দেশে পাখির মতো গুলি করে প্রতি নিয়ত মুসলমানদের জান কবজ করছে। ১০ লাখেরও বেশি হবে এ শহিদদের কাতার।

খেলাফত পতনের পর ৯৩ বছরে মুসলমানদের নিহতের সংখ্যা হলো প্রায় আড়াই কোটি, উদ্ধাস্তু আনুমানিক ৫০ কোটি । হারানো মুসলিম ভূ-খণ্ড হলো ফিলিস্তিন, পুর্বতুর্কিস্তান (জিংজিয়াং), মিন্দানাও, দক্ষিণ সুদান, পুর্ব-তিমুরসহ আরো অনেকভূমি ।

রাসূল সা. এর ইন্তেকালের পর ধারাবাহিকভাবে প্রায় সোয়া তেরোশ বছর পর্যন্ত খেলাফত ছিল । মধ্যখানে একবার তাতারীরা যখন বাগদাদে অবস্থিত আব্বাসি খিলাফত ধ্বংস করেছিল তখন ১২৫৮ – ৬১পর্যন্ত মুসলমানদের কোনো খলিফা ছিলেন না ।

এই সাড়ে তেরশ বছরে মুসলমানদের যেসব রক্তপাত হয়েছিল তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য খেলাফতে রাশেদার আমলে এবং উমাইয়া আমলে বিভিন্ন লড়াইয়ে অনুমানিক দেড় লক্ষ । ক্রুসেডাররা বায়তুল মুকাদ্দস দখলের সময় ১ লক্ষ এবং পরবর্তী লড়াইয়ে আরো ২ লক্ষ । তাতারি সয়লাবে বোখারা, সমরকন্দ, সিরাজ, বাগদাদ এবং দামেস্কে অনুমানিক ৫০লক্ষ । স্পেনে ২০ লক্ষ । আরো বিভিন্ন লড়াইয়ে অনুমানিক আরো ৫০ লক্ষ । তাহলে বোঝা যায়, খেলাফত থাকাকালে সোয়া তেরোশ বছরে মুসলমানদের নিহতের সংখ্যাহচ্ছে প্রায় ১ কোটি ২৫ লক্ষ।

ভু-খন্ড হারিয়েছি স্পেন । আবার ইসলামের ছায়াতলে এসেছে স্পেন এবং ইউরোপের দানিয়ুব নদী পর্যন্ত এবং বর্তমান মুসলিমবিশ্ব ।

আর খেলাফত ছাড়া মাত্র ৯০ বছরে আমাদের নিহতের সংখ্যা হলো আড়াইকোটি । বিজয় করেছি শূন্য (০) ভুমি। হারিয়েছি অসংখ্য মুসলিম ভূ-খণ্ড । এভাবেই ক্রমে নিভে গেছে ইসলামি খিলাফত । আর তার সঙ্গে হারিয়ে গেছে েইসলামি ঐতিহ্য।

সূত্র : উইকিপিডিয়া, মুসলিম ইঙ্ক
আরো পড়ুন : লেবানন ইতিহাসের রাজসাক্ষী আনজার দূর্গ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ