সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ ।। ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১০ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী বিরতিকে কাজে লাগিয়ে মুসলিম ফুটবলারদের ওমরা পালন ধর্ষণের বিচারে শরয়ি আইন থাকলে, কোন শিশু আর ধর্ষিত হতো না: উলামা-জনতা ঐক্য পরিষদ শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় ঈদে নতুন নোট বিতরণ স্থগিত ধর্ষণ এবং নারীর পরিচয় নিয়ে অবমাননায় ১৫১ আলেমের বিবৃতি ১০ম তারাবির নামাজে তিলাওয়াতের সারমর্ম ত্রাণ বন্ধের পর এবার গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করছে ইসরায়েল তারাবিতে ফাইভ জি স্পিডে তেলাওয়াত করবেন না: আজহারী ‘আলেমদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তোলা জিহাদ নয়, সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

সোশ্যাল মিডিয়ায় আল্লামা আরশাদ মাদানির ভিডিও ভাইরাল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হাওলাদার জহিরুল ইসলাম: প্রতিবাদ মিছিল বা বিক্ষোভ সমাবেশ সব জায়গাতেই স্লোগান দেয়ার রেওয়াজ চালু আছে। বর্তমানে রাজনৈতিক সমাবেশের পাশাপাশি দীনি সমাবেশেও চলে স্লোগান।

নিজের পছন্দের বক্তা ও সংগঠনের পক্ষে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে স্লোগান দিতে দেখা যায়। অনেক সময় বক্তা নিজেও স্রোতাদের থেকে স্লোগান আশা করেন ও সুযোগ করে দেন।

সাম্প্রতিক দারুল উলুম দেওবন্দের সিনিয়র মুহাদ্দিস আল্লামা সাইয়িদ আরশাদ মাদানির একটি সমাবেশে বক্তৃতাকালে পাশের একজন স্লোগান দিলে তিনি খুব রাগান্বিত হন। এমনকি মাইক্রফোন ছুঁড়ে মারেন।

মিল্লাত টাইমস জানিয়েছে, কয়েক দিন আগে ভারতের হায়দারাবাদ প্রদেশে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐক্য সম্মেলনে আল্লামা আরশাদ মাদানি প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে মঞ্চের ওপর পাশ থেকে একজন ‘উলামায়ে দেওবন্দ জিন্দাবাদ’ বলে স্লোগান শুরু করলে আল্লামা মাদানি মাইক্রোফোন ছুঁড়ে মারতে মারতে বলেন, আহমক কোথাকার!

যখন প্রকৃত স্লোগান দেয়ার সময় আসে তখন ঘরের কোণে ঢুকে থাকো। আর এখানে এখানে এসেছো স্লোগান দিতে। আরেকবার স্লোগান দিলে বক্তব্যই বন্ধ করে দিবো।

আল্লামা আরশাদ মাদানির ওই বক্তব্যের ৪৮ সেকেন্ডের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভারতের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, ফেসবুক, টুইটারসহ সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশেও কয়েক দিন ধরে একই অবস্থা লক্ষ করা গেছে।

আরও পড়ুন: দেওবন্দের সঙ্গে ভাষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের প্রস্তাব সৌদির

সোশ্যালি মিডিয়ায় আল্লামা মাদানির এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে পোস্ট দিয়েছেন হাজারো আলেম, ছাত্র জনতা।

বিশেষত দারুল উলুম দেওবন্দের শিক্ষার্থী, ফারেগিন দেওবন্দি আলেমগণ মাদানির প্রশংসা করে বলেছেন, যেখানে সেখানে স্লোগান দেয়ার রেওয়াজ বন্ধ হওয়া দরকার। স্লোগানের কারণে অধিকাংশ সময় বক্তার কথা স্রোতারা বুঝতে পারেন না।

আবার বক্তাও নিজের কথার সূত্র হারিয়ে ফেলেন। তাই আরশাদ মাদানি প্রকাশ্যে যা করেছেন তা সবার জন্য শিক্ষণীয়।

সূত্র: মিল্লাত টাইমস

ভিডিওটি দেখতে নিচে ভিডিওতে ক্লিক করুন

https://www.facebook.com/ABUAIMALREPORTER/videos/2113526248860995/?t=4

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ