শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা ইসলামি লেখক ফোরামের বৈঠক অনুষ্ঠিত, আসছে নতুন কর্মসূচি সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে উত্তপ্ত খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা নেতানিয়াহুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ইসরায়েলি নাগরিক গ্রেপ্তার

লাইসেন্সিংয়ের আওতায় আসছে ড্রোন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বর্তমানে আবেদনের ভিত্তিতে ড্রোন ওড়ানোর অনুমতি দিলেও দেশে কতগুলো ড্রোন রয়েছে, এগুলোর মালিক কারা এমন তথ্য নেই রাষ্ট্রীয় কোনও সংস্থার কাছে।

এ কারণে ড্রোনের রেজিস্ট্রেশন ও এর অপারেটরদের লাইসেন্সিংয়ের আওতায় আনার উদ্যোগ নিচ্ছে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি। এ লক্ষ্যে বর্তমান নীতিমালাটি সংশোধন করা হচ্ছে। অন্যদিকে, আমদানির নীতিমালা না থাকায় দেশে অবৈধভাবে আসছে ড্রোন।

এ অবস্থায় বৈধভাবে ড্রোন আমদানির সুযোগ করে দিতে নীতিমালা প্রণয়নের কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ড্রোনের লাইসেন্স দেওয়া হয়। ড্রোনটি কে অপারেট করছেন, তা শনাক্ত করতে ছোট-বড় সব ড্রোন রেজিস্ট্রেশন এবং ড্রোন অপারেটরদের লাইসেন্সিংয়ের আওতায় আনার ব্যবস্থা রয়েছে বিভিন্ন দেশে।

বাংলাদেশে বেসামরিক বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিভিল এভিয়েশন অথরিটিও একইভাবে রেজিস্ট্রেশন ও লাইসেন্সিংয়ের বিধান যুক্ত করে নীতিমালা সংশোধনের কাজ করছে।

সিভিল এভিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, ড্রোন ওড়ানোর ৪৫ দিন আগে অনুমতি নিতে হয় সিভিল এভিয়েশন থেকে। নির্ধারিত ফরমে আবেদন করলে সেটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যাচাই বাছাই করে অনুমতি দেয় সিভিল এভিয়েশন।

৫ পৃষ্ঠার এ আবেদনপত্রে ড্রোন কোথায় ওড়ানো হবে, কে ওড়াবে, ড্রোনের আকার, নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য দিতে হয় আবেদনকারীকে। বর্তমানে মাসে এমন শতাধিক আবেদন জমা পড়ে সিভিল এভিয়েশনে।

২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি ড্রোন উড্ডয়নে বিধিবিধান মানার আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশের আকাশসীমায় সব বিমান চলাচল বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের রেগুলেশন এবং বিমানবাহিনীর নির্ধারিত নিয়মনীতি ও সরাসরি নিয়ন্ত্রণ দ্বারা পরিচালিত হয়।

পরীক্ষামূলক ড্রোন বা রিমোট কন্ট্রোলচালিত বিমান/হেলিকপ্টার আকাশে ওড়ানোর আগে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও বিমানবাহিনীর অনুমোদন নিতে হবে।

বর্তমানে সিভিল এভিয়েশন অথরিটির রেগুলেশন ফর অপারেটিং রিমোটলি পাইলট এয়ারক্রাফট সিস্টেম (আরপিএএস) নামে একটি নীতিমালা রয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, আঠারো বছরের কম বয়সী কেউ ড্রোন উড্ডয়নের অনুমতি পাবে না।

মদ্যপানের ৮ ঘণ্টার মধ্যে কেউ ড্রোন ওড়াতে পারবেন না। ড্রোনটি কোনও ক্ষতি সাধন করলে তার দায় ড্রোনের অপারেটরকে বহন করতে হবে। ড্রোন যে স্থানে ওড়ানো হবে সে এলাকার ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশকে অবহিত করতে হবে।

ভূমি থেকে ২০০ ফুটের বেশি উচ্চতায় ড্রোন ওড়ানো যাবে না। যেকোনও বিমানবন্দরের ১০ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে ড্রোন ওড়াতে হলে সংশ্লিষ্ট বিমানবন্দরের অ্যারোড্রম অপারেটরের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। একজন ব্যক্তি একসঙ্গে একাধিক ড্রোন ওড়াতে পারবেন না। এখন এই নীতিমালা সংশোধন করে রেজিস্ট্রেশন ও লাইসেন্সিংয়ের বিধান যুক্ত করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন- ফেসবুকের কল্যাণে ৩শিশুকে ফিরে পেল পরিবার


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ