তামিম আহমাদ
ফিচার রাইটার
গীষ্মের তাপদাহ উপাত্ত ছড়াচ্ছে। গরম দৈনন্দিন জীবনে অস্বস্তিতে ফেলেছে। ঘর ঠান্ডা রাখতে অনেকেই শীতাতত নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র সংযোজন করেন। কিন্তু সকলের তা কেনার স্বামর্থ্য নেই। আপনি চাইলে গরমে ঘর রাখুন ঠান্ডার জন্য ১৪টি সহজ পদ্ধতি মেনে চলতে পারেন।
১. শৌখিন পর্দা ফোল্ড করে রেখে গরমকালে বাঙালির অতি পরিচিত পর্দা টাঙান জানলায়। এতে বাইরের তাপ সবচেয়ে ভাল আটকানো যায়। আগে অফিস-কাছারিতে এমন পর্দা পানিতে ভিজিয়ে দেয়া হত। কিন্তু এখন তা না করলেও চলবে। বাইরের তাপ পর্দায় আটকে রেখে বাকি ব্যবস্থা অন্যভাবে করুন।
২. এক বাটি বরফের টুকরো নিয়ে ফ্যানের নিচে রেখে ফ্যান চালু করুন। কিছুক্ষণ পর বরফগুলো যখন গলতে শুরু করবে, তখন বাতাস ওই ঠান্ডা জল শোষণ করবে এবং ছড়িয়ে দেবে। এর ফলে আপনার ঘর ঠান্ডা হবে।
৩. গরমের সময়ে ওভারহেড ট্যাঙ্কে বেশি পানি রাখবেন না। কারণ পানি তাড়াতাড়ি গরম হয়ে আগুনের মতো হয়ে যায়। গরম পানির ভাপ সব সময়েই বেশি। তাই সেই পানি যখন ব্যবহার করবেন তার গরম বাষ্প ঘরও গরম করে তুলবে। তাই প্রয়োজন মতো অল্প অল্প পানি তুলে ব্যবহার করুন। এতে পানিটাও ঠান্ডা পাওয়া যাবে।
৪. সূর্যাস্তের পরে ঘরের জানলা-দরজা খুলে দিন। ঠান্ডা বাতাসে ঘরের গুমোট হাওয়া দুরকরে। অতি পরিচিত ঘর ঠান্ডা করার পদ্ধতি। কিন্তু নিয়ম করে করা হয়ে ওঠে না অনেক সময়।
৫. বাড়ি শীতল রাখার জন্য ঘরের চারপাশে গাছপালা লাগান। ছায়া দিতে পারে এমন গাছ পূর্ব-পশ্চিমে লাগালে আপনার বাড়িতে সূর্যের তাপ ঢুকতে বাধা দেবে। ঘরের চারপাশে ঘাস ও ঘাস জাতীয় গাছ থাকলে ঘর ঠান্ডা থাকে।
৬. বেশ কিছু ইন্ডোর প্লান্ট রয়েছে, যা বাড়ির মধ্যে রাখলে ঘর ঠান্ডা থাকে। যেমন অ্যালোভেরা, বস্টন ফার্ন, স্নেক প্লান্ট, উইপিং ফিগ, অ্যারিকা পাম ইত্যাদি। ঘরের বাতাসকেও শুদ্ধ করে এই গাছগুলি।
৭. বাড়ির মধ্যে কয়েকটি জায়গায় বড় মাটির মালসায় করে পানি রাখুন ও তাতে কয়েকটি সুগন্ধি ফুল ফেলে দিন। দিনে দু’তিনবার পানি পরিবর্তন করে নিন। ঠান্ডা পানির বাষ্পে ঘর ঠান্ডা থাকবে। ভ্যাপসা গন্ধও হবে না।
৮. তুলার বালিশের পরিবর্তে বাজরার বালিশ ব্যবহার করুন গরমকালে। তুলার বালিশ খুব তাড়াতাড়ি গরম হয়ে যায়।
৯. সন্ধেবেলা ছাড়াও দুপুরের আগে আর একবার ঘরের সব দরজা-জানলা খুলে হাওয়া খেলতে দিন। মুখোমুখি জানলা খুলে দিলে সবচেয়ে ভাল। ঘরের গুমোট খুব ভাল দূর হয়।
১০. সাধারণ বাল্ব-টিউব পাল্টে ব্যবহার করুন এলইডি বাল্ব। কারণ ইনক্যান্ডেসেন্ট বাল্ব থেকে গরম হয়ে যায় ঘর।
১১. দিনে দু’বার করে ঘর ও জানলার স্ল্যাব ভাল করে মুছুন। এতেও ঘর ঠান্ডা হতে সাহায্য করবে।
১২. ইলেকট্রিশিয়ান ডেকে পাখার ব্লেড একটু অন্যভাবে লাগান, যাতে পাখা ঘোরে অ্যান্টি-ক্লকওয়াইজ। এভাবে পাখা ঘুরলে গরম হাওয়া নীচে নামবে না, বরং উল্টোটাই হবে।
১৩. কাচের জানলা যাদের, তারা পর্দার বদলে শৌখিন ‘ব্লাইন্ডস ইনস্টল’ করতে পারেন। এতেও পুরোপুরি আটকানো যায় বাইরের তাপ।
১৪. রাতের বেলা টেবিল বা পোর্টেবল ফ্যান জানালার কাছে নিয়ে চালিয়ে দিন। এটা বাইরের ঠান্ডা হাওয়া ভিতরে নিয়ে আসবে এবং ঘরের গরম দূর হবে।