শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর কমিটি ঘোষণা উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই: ধর্ম উপদেষ্টা পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটিতে আলেম অন্তর্ভুক্তির দাবি হেফাজতে ইসলামের সিংগাইরে হেফাজতে ইসলামের গণসমাবেশ ২৯ সেপ্টেম্বর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা হলে ‘হাত ভেঙে’ দেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ‘জুলাই বিপ্লবে আলেম-শিক্ষার্থীদের অবদান ও প্রত্যাশা’ নিয়ে আলোচনা সভা সোমবার সিলেটে অনুষ্ঠিত বিহানের ‘লেখালেখি ও এডিটিং কর্মশালা’ দেশে ফিরে কর্মফল ভোগ করুন, শেখ হাসিনাকে জামায়াতের আমির রাষ্ট্র সংস্কারে ইসলামবিরোধী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না: জাতীয় পরামর্শ সভা যাত্রাবাড়ীতে জাতীয় পরামর্শ সভায় গৃহীত হলো ৭ প্রস্তাব

ইসলামবিরোধী বোল্টনের উত্থান যেভাবে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সাখাওয়াত উল্লাহ : ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে খারাপ জনতুষ্টির উদাহরণ বলে মন্তব্য করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন জন বোল্টন।

বুশ প্রশাসনের অধীনে জাতিসংঘে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করে আসা এই সাবেক কূটনীতিককে নিজের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিয়োগ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র থাকার ধোঁয়া তুলে ইরাকে আগ্রাসন চালানোর পেছনে কলকাঠি নেড়েছিলেন বোল্টন।

শুরু থেকেই তিনি ছিলেন একজন কট্টর ইসলামবিরোধী। যুক্তরাষ্ট্রের বহু ইসলাম বিরোধী দল এবং ইসলাম বিরোধী ব্যক্তিত্বের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ইসলাম বিদ্বেষ ছড়ানোতেও তার ভূমিকা রয়েছে।

২০১৩ সাল থেকে তিনি মুসলিম বিরোধী থিংক ট্যাংক গেটস্টোন ইন্সটিটিউটের চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করে এসেছেন। তার অধীনেই এই প্রতিষ্ঠান থেকে ভয়াবহ কিছু আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়েছিল, যা জনসাধারণের মধ্যে ইসলাম বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেয়।

তাদের কিছু আর্টিকেলে মুসলিম অভিবাসীদের ধর্ষক এবং ভয়াবহ সংক্রমণক রোগের বাহক হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছিল।

গেটস্টোন ইন্সটিটিউট থেকে চক্রান্তমূলক ধারণা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাদের মতে, মুসলিমরা মার্কিন সরকারকে উৎখাত করে শরিয়াহ আইন আনতে চাচ্ছে।

আওয়ার ইসলাম টিভি, সাবস্ক্রাইব করুন এখনই

২০১৬ সালে কঠোর ডানপন্থী আমেরিকান ফ্রিডম অ্যালায়েন্সের বার্ষিক সম্মেলনে তিনি প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দিয়েছিল। সেসময়ে তিনি প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ধর্ম ইসলাম হওয়াতে এটি নিয়ে মজা করেন।

২০০৬ সালে সরকারি কাজ ছাড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম কিছু ইসলাবিরোধী ব্যক্তিত্বের সঙ্গে তার একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। তাদের মধ্যে ছিল পামেলা গেলার এবং রবার্ট স্পেন্সার।

তিনি ২০১০ সালে গেলার এবং স্পেন্সারের বইয়ের ভূমিকা লিখে দিয়েছিলেন যেখানে তিনি ইসলামবিরোধী অনেককিছু নিয়ে কথা বলেছিলেন।

সাম্প্রতিক সময়ে ট্রাম্পের মুলিম অভিবাসী নিষেধাজ্ঞার প্রশংসা করেছিলেন বোল্টন।

এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়েও তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ইসলাম বিদ্বেষ ছড়ানোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তার ভাষ্যমতে, ‘যুক্তরাষ্ট্রে ইসলামের কোন জায়গা নেই।

এসব কিছুর পরও বোল্টনকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প। ধারণা করা হচ্ছে, তার মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাবের কারণেই ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের সূচনা হতে যাচ্ছে।

সূত্র: হাফিংটনপোস্ট

ট্রাম্পের সেই নগ্ন মূর্তি নিলামে উঠছে!


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ