সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ ।। ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১০ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী বিরতিকে কাজে লাগিয়ে মুসলিম ফুটবলারদের ওমরা পালন ধর্ষণের বিচারে শরয়ি আইন থাকলে, কোন শিশু আর ধর্ষিত হতো না: উলামা-জনতা ঐক্য পরিষদ শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় ঈদে নতুন নোট বিতরণ স্থগিত ধর্ষণ এবং নারীর পরিচয় নিয়ে অবমাননায় ১৫১ আলেমের বিবৃতি ১০ম তারাবির নামাজে তিলাওয়াতের সারমর্ম ত্রাণ বন্ধের পর এবার গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করছে ইসরায়েল তারাবিতে ফাইভ জি স্পিডে তেলাওয়াত করবেন না: আজহারী ‘আলেমদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তোলা জিহাদ নয়, সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

‘নামাজের কোনো প্রধান অতিথি হয় না’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সাব্বির জাদিদ

ছবিটি ১৯৭২ সালের। ধানমন্ডি ক্লাব মাঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গিয়েছিলেন ঈদের নামাজ আদায় করতে। নামাজের ইমাম ছিলেন হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ যাকারিয়া র.।

জামাতের সময় হয়ে গেলে ইমাম সাহেব নামাজ পড়াতে দাঁড়িয়ে যান। বঙ্গবন্ধু তখনো উপস্থিত হননি। সরকারের প্রভাবশালী এক কর্মকর্তা বলেন, বঙ্গবন্ধু আজকের জামাতের প্রধান অতিথি। তাঁর জন্য অপেক্ষা করুন।

যাকারিয়া সাহেব বললেন, নামাজের কোনো প্রধান অতিথি হয় না। ততক্ষণে বঙ্গবন্ধু মাঠে প্রবেশ করছেন। ইমামের ঘোষণা তাঁর কানে গেছে।

নির্ধারিত স্থানে নামাজ পড়ে বঙ্গবন্ধু ইমাম সাহেবকে বলেন, আপনি ঠিকই বলেছেন। নামাজের কোনো প্রধান অতিথি নাই। এরপর বঙ্গবন্ধু ইমাম সাহেবকে তার বাসায় দাওয়াত দেন।

ক'দিন পর ইমাম যাকারিয়া সাহেব বঙ্গবন্ধুর বাসায় যান বেড়াতে। আপ্যায়ন শেষে ইমাম সাহেবকে শেখ রাসেলের কোরআন শেখানোর দায়িত্ব দেন বঙ্গবন্ধু।

ছবিতে বঙ্গবন্ধু, শেখ রাসেল, জিল্লুর রহমান ও ইমাম যাকারিয়া সাহেব।

পুনশ্চ: সেদিনের ইমাম মাওলানা যাকারিয়া র.-এর কাছে আমি আরবি ব্যাকরণ পড়েছি। সেই অর্থে শেখ রাসেল এবং আমার শিক্ষক একইজন।

তথ্য ও ছবিঋণ: প্রিয় শিক্ষক Nurun Nabi সাহেব।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ