শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

সিরিয়া-ইসরায়েল-ইরান ত্রিপক্ষীয় যুদ্ধের দামা বেজে উঠছে সিরিয়ায়?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: সিরিয়া-ইসরায়েলের মধ্যে বিরোধ অনেক পুরনো। দুই দেশের মধ্যে অনেকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। তবে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সুযোগে সেখানে প্রভাব বাড়ছে ইরান আর হেজবুল্লাহর, যা উদ্বিগ্ন করে তুলেছে ইসরায়েলকে। সম্প্রতি সেখানে পরস্পরের বিমান ভূপাতিত করার মতো ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সেখানকার এই উত্তেজনা কি আরো বড় আকারে রূপ নিতে পারে?

বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এক দশক আগে পূর্ব সিরিয়ার আকবর সামরিক কেন্দ্রে যে বোমা হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েলি ফাইটার জেট, এতবছর ধরে তা অস্বীকার করার পরে এখন তারা স্বীকার করেছে। সেখানে একটি পারমানবিক চুল্লি ছিল বলে মনে করা হতো। কিন্তু এতবছর পরে কেন এখন এই স্বীকারোক্তি?

ইসরায়েলি চিফ অফ স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল গ্যাডি আইজেনকট বলেন, ২০০৭ সালে সিরিয়ায় ওই হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে এই বার্তা দেয়া যে, ইসরায়েল এই অঞ্চলে এমন কোন কর্মকাণ্ড সহ্য করবে না, যা আমাদের দেশের অস্তিত্বকে হুমকিতে ফেলতে পারে। ১৯৯৮ সালে আমরা যখন ইরাকের আণবিক কেন্দ্রে বোমা হামলা করি, তখনো এই বার্তাই দিতে চেয়েছি। ভবিষ্যতেও আমাদের শত্রুদের এই বার্তাই দেয়া হবে।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যে, সিরিয়ায় নানা কর্মসূচীর সঙ্গে ইরানের যোগাযোগ রয়েছে। ইরানের সহায়তা সিরিয়া আণবিক অস্ত্র বানাতে পারে বলে ইসরায়েলের আশংকাও বেড়েছে। সম্প্রতি সিরিয়ায় সরকারি আর ইরানি লক্ষ্যবস্তুতেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বিষয়ক একটি সাময়িকীর বিশ্লেষক অ্যামে সারেল বলেন, সাতবছর ধরে সিরিয়ার সংঘাত থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করেছে ইসরায়েল, কিন্তু এখন সে জড়িয়ে পড়ছে।

তিনি বলেন, এখন যুদ্ধের ভিন্ন একটা অধ্যায় শুরু হয়েছে। সত্যি কথা বলতে, আসাদ সরকার এই যুদ্ধে জয়ী হতে চলেছে। কিন্তু যারা আসাদকে জয়ী হতে সহায়তা করেছে, তারা ইসরায়েলের জন্য হুমকি হতে পারে। বিশেষ করে এই অঞ্চলে ইরানের উপস্থিতি বাড়ছে, তাদের মিলিশিয়ারা নানা ঘাটি তৈরি করে থাকছে। ইসরায়েলের জন্য আরেকটি বড় হুমকি হতে পারে হেজবুল্লাহ।

সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে মিলে বিদ্রোহী বাহিনী আর ইসলামিক স্টেট গ্রুপের বিরুদ্ধে লড়াই করছে হেজবুল্লাহও। যুদ্ধে তারা শত শত যোদ্ধাও হারিয়েছে। তবে বেইরুটের কার্নেগী মধ্যপ্রাচ্য কেন্দ্রের মোহাম্মেদ হেজালি বলেন, যোদ্ধা হারালেও এই যুদ্ধে হেজবুল্লাহর সামরিক শক্তি আসলে অনেক বেড়েছে।

হেজালি আরো বলেন, হেজবুল্লাহ তাদের শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করেই চলেছে এবং নতুন নতুন অস্ত্রের ব্যবহারের চেষ্টা করছে। সিরিয়ার যুদ্ধে তারা তাদের সবরকম শক্তি ব্যবহার করেই তারা অভিজ্ঞতা অর্জনের চেষ্টা করছে। তারা সেখানে অন্য ছোট গ্রুপগুলোকে প্রশিক্ষণও দিচ্ছে, যারা সিরিয়ায় তাদের প্রভাব বিস্তারে দীর্ঘদিন কাজ করবে। আর এটাই ইসরায়েলকে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। তারই প্রতিফলন ঘটেছে সিরিয়ায় সাম্প্রতিক এসব হামলায়।

তাদের দাবি, ইরান যাতে হেজবুল্লাহকে শক্তিশালী করতে না পারে, তাই তাদের এসব পদক্ষেপ। যদিও হেজবুল্লাহ নেতা শেখ নাইম কাসেম একে যুদ্ধ হিসাবেই নিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমি পরিষ্কার ভাবে বলছি, যেকোনো হামলা ঠেকাতে হেজবুল্লাহ সবসময়েই প্রস্তুত আছে। যদি ইসরায়েল কখনো সেরকম ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, তাহলে তার উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে। তবে আমার মনে হয়না, তারা একটি যুদ্ধে জড়ানোর মতো অবস্থায় আছে।তবে বিপদ লুকিয়ে আছে নানা ঘটনার মধ্যে।

ইসরায়েলি আকাশ সীমায় একটি ইরানি ড্রোন ভূপাতিত করার পর সিরিয়ায় হামলা করে ইসরায়েল, যেখানে তাদেরও একটি ফাইটার জেট ভূপাতিত হয়। এরপর সিরিয়ার কিছু লক্ষ্যবস্তুতে পাল্টা হামলা করে ইসরায়েল। এসব কিছুই আশংকা তৈরি করছে যে, দেশটির রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ হয়তো যেকোনো সময় একটি পুরাদস্তুর আঞ্চলিক যুদ্ধেও মোড় নিতে পারে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ