আওয়ার ইসলাম: চট্টগ্রামের হাটহাজারীর কাটিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে শিশুটি। আর তার বড় ভাই পার্শ্ববর্তী কাটিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। রোববার দুপুরে এক বান্ধবীকে নিয়ে বড় ভাইকে খাবার দিতে গেলে স্কুলের দপ্তরি আপন দুলাল তাকে স্কুলের দোতালায় নিয়ে যায় এবং তার বান্ধবীকে চলে যেতে বলে।
এদিকে মেয়ে ফিরে না আসায় স্কুলের শিক্ষক ও বাবা তাকে খুঁজতে স্কুলে যান। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে সেপটিক ট্যাংক থেকে গোঙানির শব্দ পেয়ে ঢাকনা সরিয়ে তাকে পাওয়া যায়।
রোববার দুপুরে উপজেলার কাটিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের পর হত্যার জন্য শিশুটিকে স্কুলের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয় ওই দপ্তরি। আহত ছাত্রীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে দপ্তরি আপন দুলাল মালিকে (৪২)।
চট্টগ্রাম মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, মেয়েটির গলা ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত রয়েছে।
হাটহাজারী থানার ওসি বেলাল উদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর বলেন, স্থানীয়রা দপ্তরি আপনকে ধরে পুলিশে দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে সে শিশুটিকে ধর্ষণ চেষ্টার কথা স্বীকার করেছে। তবে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।