শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬


নিখোঁজ রোহিঙ্গা বাবা-মায়ের সংখ্যা ৪৩ হাজার ৭০০

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: নতুন এক মানবাধিকার প্রতিবেদনে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা হত্যার আলামত মিলেছে। আসিয়ান পার্লামেন্টারিয়ান ফর হিউম্যান রাইটস (এপিএইচআর) নামের কমিটির ওই মানবাধিকার প্রতিবেদন বলছে, গত আগস্টে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পূর্ব পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো হওয়ার পর থেকে রোহিঙ্গা শিশুর ৪৩ হাজার বাবা –মা নিখোঁজ রয়েছেন।

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার জোট আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সংসদ সদস্যদের নিয়ে গঠিত এপিএইচআর বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো জরিপের ভিত্তিতে নতুন ওই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে । সেই প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে মার্কিন সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনের খবরে বলা হয়েছে, জরিপের ফলাফল প্রমাণ করে রাখাইনে নিহতের সংখ্যা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের স্বীকার করা সংখ্যার চেয়েও অনেক বেশি।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাখাইনে গত আগস্ট থেকে মাত্র চারশো মানুষের নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। এপিএইচআর রোহিঙ্গা বাবা মায়ের ওপর এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে

নিরাপত্তাবাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলার পর গত বছরের আগস্টের শেষ সপ্তাহে রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর পূর্ব পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরোলো করে মিয়ানমার। নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে থাকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা। পৃথিবীর সবচেয়ে বিপন্ন জনগোষ্ঠীর পরিচয় পাওয়া রোহিঙ্গাদের বয়ানে উঠে আসতে থাকে রাখাইনে স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চালানো নৃশংসতার চিত্র।

এই বছরের ২১ থেকে ২৪ জানুয়ারি এপিএইচআর বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে তদন্তমূলক অনুসন্ধান চালায়। অনুসন্ধান শেষে দেওয়া প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সরকারি তথ্য উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ২৮ হাজার তিনশো রোহিঙ্গা শিশু নিজেদের বাবা-মায়ের কমপক্ষে একজনকে হারিয়েছে। এছাড়া শিবিরের সাত হাজার সাতশো শিশু বাবা-মা দুজনকেই হারিয়েছে। আর এই দুই সংখ্যা মিলিয়ে রোহিঙ্গা শিশুর নিখোঁজ হওয়া বাবা-মায়ের সংখ্যা ৪৩ হাজার সাতশো।

এপিএইচআরের রিসার্চ ও এডভোকেসি পরিচালক অরেন সামেত মার্কিন সংবাদমাধ্যম টাইমসকে বলেছেন, ‘এই সংখ্যক রোহিঙ্গা শিশুর বাবা-মা তাদের সঙ্গে নেই। কারণ হয় তাদের হত্যা করা হয়েছে, অথবা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে আশঙ্কা রয়েছে না হয় তারা কোথায় রয়েছেন তার কোনও সন্ধান নেই।’ টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, আগে ধারণা করা হতো বাংলাদেশের অস্থায়ী শরণার্থী শিবিরগুলোতে দুই হাজার ৬৮০ জন রোহিঙ্গা শিশু বাবা-মায়ের কাছ থেকে আলাদা হয়ে পড়েছে। তবে এপিএইচআরের জরিপে পাওয়া তথ্য জানাচ্ছে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি।

 

এইচজে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ