আওয়ার ইসলাম
মহান মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো জাতীয় দিবসে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণে বাংলাদেশের আগ্রহ থাকলেও সে অনুযায়ী সাড়া পাওয়া যায়নি যুক্তরাষ্ট্রের উৎক্ষেপণকারী প্রতিষ্ঠান স্পেস-এক্সের পক্ষ থেকে। এখন তাদের নির্ধারিত যে কোনো দিনের জন্যই প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। সেভাবে ব্যাপক আয়োজন চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে নজরদারি করছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নির্দেশে সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী, বর্তমানে তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল পাঠানো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। উৎক্ষেপণের সময় প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে তারাও সেখানে উপস্থিত থাকবেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২ এপ্রিল দেশের মর্যাদার প্রতীক প্রথম স্যাটেলাইটটি মহাকাশে যাত্রা করার কথা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কেপ ক্যানাভেরালের স্পেস-এক্স থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করা হবে। এর আগে এ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু হারিকেন ‘ইরমা’র কারণে সে উৎক্ষেপণ পিছিয়ে যায়। পরে চলতি বছরের ২৬ মার্চ তা মহাকাশে পাঠানোর প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ।
কিন্তু ওই সময়ে সিডিউল দিতে না পারার কথা জানায় স্পেস-এক্স। তারা মার্চের শেষ সপ্তাহে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করতে চায়। সে অনুযায়ী গত ৭ জানুয়ারি তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন ২৭ থেকে ৩১ মার্চের কথা। পরে যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব প্রয়োজনে একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য সে সময়টিও পিছিয়ে যায়।
স্যাটেলাইটটি সঠিকভাবে উৎক্ষেপণের ৮ দিন পর এটি মহাকাশে বরাদ্দ পাওয়া ১১৯ দশমিক ১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছাবে। উৎক্ষেপণের পর পরবর্তী ১ বছর পর্যন্ত এর তদারকি করবে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান। এটি আগামী ১৮ বছর পর্যন্ত মহাকাশে থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করবে। এ স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণের জন্য গত বছরের ১৫ জানুয়ারি রাশিয়ার ইন্টারস্পুটনিকের কাছ থেকে অরবিটাল স্পট কেনে বাংলাদেশ।
এখানে আরো ২টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা যাবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের খরচ ধরা হয়েছে ২ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে হংকং-সাংহাই ব্যাংকের (এইচএসবিসি) সঙ্গে ১ হাজার ৪শ কোটি টাকার একটি ঋণচুক্তি সই করে বিটিআরসি। স্যাটেলাইট নির্মাণ, সিস্টেম কেনা ও গ্রাউন্ড স্টেশন নির্মাণের জন্য এ টাকা দেয় ব্যাংকটি।