আওয়ার ইসলাম: পৃথক দুটি ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম ‘সিন্ডিকেট’র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বর্ষের ১২জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার রাতে সিন্ডিকেটের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের (এসএম) আবাসিক ছাত্র এহসান রফিককে মেরে রক্তাক্ত করার জন্য সাতজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
অন্যদিকে পালি ও বুদ্ধিস্ট বিভাগের কয়েকজন নারী শিক্ষার্থীকে নিয়ে ফেসবুকে অশালীন মন্তব্য করার জন্য পাঁচজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এসএম হলের ঘটনার জন্য ছাত্রলীগের ওই হল শাখার পদধারী একজনকে স্থায়ী, পাঁচজনকে দুই বছর মেয়াদী ও একজনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর পালি ও বুদ্ধিস্ট বিভাগের পাঁচজনকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
এস এম হলের ঘটনায় বহিষ্কৃতদের মধ্যে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার হয়েছেন ছাত্রলীগের হল শাখার সহ সম্পাদক ওমর ফারুক (মার্কেটিং বিভাগ)।
দুই বছরের জন্য বহিষ্কৃতরা হলেন, হল শাখা ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক রুহুল আমিন (সাংবাদিকতা বিভাগ), সদস্য সামিউল ইসলাম সামী (সমাজবিজ্ঞান বিভাগ), সদস্য আহসান উল্লাহ (দর্শন), উপ প্রশিক্ষণ সম্পাদক মেহেদী হাসান হিমেল (উর্দু বিভাগ) এবং সহ সম্পাদক ফারদিন আহমেদ মুগ্ধ (লোক প্রশাসন)।
পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট বিভাগের বহিষ্কৃত পাঁচজনের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে এদের বিষয়ে একজন সিন্ডিকেট সদস্য জানান, তারা তাদের সহপাঠীদের নিয়ে অত্যন্ত অশালীন ভাষায় ফেসবুকে লিখেছে।
এতো অশালীন যে মেয়ে সহপাঠীরা আর অভিযুক্তদের সঙ্গে ক্লাস করতে চাননি। এ নিয়ে তদন্ত হয়। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
এসএস/