সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ ।। ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১০ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী বিরতিকে কাজে লাগিয়ে মুসলিম ফুটবলারদের ওমরা পালন ধর্ষণের বিচারে শরয়ি আইন থাকলে, কোন শিশু আর ধর্ষিত হতো না: উলামা-জনতা ঐক্য পরিষদ শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় ঈদে নতুন নোট বিতরণ স্থগিত ধর্ষণ এবং নারীর পরিচয় নিয়ে অবমাননায় ১৫১ আলেমের বিবৃতি ১০ম তারাবির নামাজে তিলাওয়াতের সারমর্ম ত্রাণ বন্ধের পর এবার গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করছে ইসরায়েল তারাবিতে ফাইভ জি স্পিডে তেলাওয়াত করবেন না: আজহারী ‘আলেমদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তোলা জিহাদ নয়, সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শূন্যরেখা থেকে প্রায় ২ হাজার রোহিঙ্গা উধাও

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: এপারে আশ্রিত মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার ভয়ে সীমান্তের তুমব্রু কোনারপাড়া শূন্যরেখা থেকে প্রায় ২ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে গেছে। এসব রোহিঙ্গা কোথায় গেছে, তা সেখানে বসবাসরত রোহিঙ্গারা নিশ্চিত নন।

শনিবার সকালে প্রশাসনের কর্মকর্তারা সরেজমিন পরিদর্শন করে বিষয়টি নিশ্চিত হন।

সূত্র জানায়, ২৫ আগস্ট মিয়ানমারে জাতিগত নিধনের ফলে রোহিঙ্গারা এদেশে পালিয়ে আসার ধারাবাহিকতায় প্রায় ৬ হাজার রোহিঙ্গা তুমব্রু শূন্যরেখায় অবস্থান নেয়।

এসব রোহিঙ্গার খাদ্য, ওষুধপত্রসহ যাবতীয় ত্রাণসামগ্রী বিভিন্ন এনজিও সংস্থা নিয়মিত দিয়ে আসলেও শূন্যরেখায় এপারে যেন আসতে না পারে সে ব্যাপারে বিজিবির কঠোর দিক নির্দেশনা ছিল বলে জানা গেছে।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ-মিয়ানমার যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রতিনিধি দল শূন্যরেখা পরিদর্শন করে সেখানে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তত থাকার ও পরিবারভিত্তিক তালিকা করার নির্দেশ দিলে রোহিঙ্গাদের ভীত সন্ত্রস্তের সৃষ্টি হয়। ফলে ২ হাজার রোহিঙ্গা হঠাৎ করে রাতের আঁধারে শূন্যরেখা ত্যাগ করার ঘটনা নিয়ে প্রশাসনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

বান্দরবান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শফিউল আলম, বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হোসেন ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এসএম সরওয়ার কামাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তুমব্রু কোনারপাড়া শূন্যরেখা রোহিঙ্গা বস্তি পরিদর্শন করে ২ হাজার রোহিঙ্গা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনা নিশ্চিত হন।

পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় বিজিবি, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গে সঙ্গে মতবিনিময় করে বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে শূন্যরেখায় অবস্থিত রোহিঙ্গাদের তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে ফেরত নেবে। তাদের জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক থাকা-খাওয়া, চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় সমস্যা নিরসনে ব্যবস্থা নিয়েছে।

এমতাবস্থায় রোহিঙ্গারা বস্তি ছেড়ে পালিয়ে গেছে এদেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ণ হবে। তাই বস্তিতে বসবাসরত রোহিঙ্গারা যাতে কোনো অবস্থাতে স্থান ত্যাগ করতে না পারে সেদিকে নজর রাখার জন্য সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।

শূন্যরেখা থেকে যেসব রোহিঙ্গারা ইতিমধ্যে পালিয়ে গেছে তাদের খুঁজে বের করে বিজিবি ও পুলিশের হাতে সোপর্দ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একে জাহাঙ্গীর আজিজ, সাবেক চেয়ারম্যান খাইরুল বাশার, ঘুমধুম ফাঁড়ির পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) ইমন কান্তি চৌধুরী ও আইভি রহমান স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সভাপতি ছৈয়দুল বশর প্রমুখ উপস্থিত।

টিএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ