আওয়ার ইসলাম: ভারতের দমদমে বৃদ্ধা মাকে হত্যার পর ফ্লাটের রেলিংয়ের সাথে লাশ ঝুলিয়ে দেয় ছেলে। শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। হত্যার অভিযোগ নিহতের ছেলে, ছেলের স্ত্রী ও নাতনিকে আটক করেছে পুলিশ।
৮০ বছর বয়সী নিহত বৃদ্ধার নাম অমিতা দত্ত। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার আগে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি পুলিশ।
সকালে দক্ষিণ দমদম পৌরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের রফি আহমেদ কিদোয়াই রোডের একটি বহুতলের চারতলার বারান্দার বাইরে থেকে ওই বৃদ্ধার ঝুলন্ত লাশ দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঝুলন্ত দেহটি দেখার পরই বহুতলের নিরাপত্তারক্ষীরা তার ছেলেকে খবর পাঠান। খবর দেওয়া হয় পুলিশেও। যদিও প্রতিবেশীদের কাছে তার ছেলে নীলাঞ্জন দত্ত দাবি করেন, তারা বিষয়টি জানতেন। এমনকি জরুরি নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছেন বলেও দাবি করেন নীলাঞ্জন। যদিও সেই দাবি মানতে চাননি প্রতিবেশীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, চারতলার বারান্দার বাইরে যেভাবে কাপড়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় বৃদ্ধাকে দেখা গিয়েছিল তা যথেষ্ট রহস্যময়। একজন বৃদ্ধার পক্ষে এভাবে আত্মহত্যা করা অসম্ভব বলেও দাবি অনেকের। পাশাপাশি বৃদ্ধার পা তিনতলার কার্নিশে ঠেকে ছিল বলেও জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। আর এসব কারণেই জন্যই এলাকাবাসীদের দাবি, ওই বৃদ্ধাকে খুন করা হয়েছে।
প্রায় ৬ মাস আগে রফি আহমেদ কিদোয়াই রোডের ওই বহুতলে ভাড়া আসেন নীলাঞ্জনরা। ছেলে, বউমা এবং নাতনির সাথে চারতলার ওই ফ্ল্যাটেই থাকতেন বৃদ্ধা। মাত্র কয়েক মাস আগে ওই এলাকায় আসার জন্য তাদের বিষয়ে বিশেষ কিছুই জানাতে পারেননি প্রতিবেশীরা। নীলাঞ্জন একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
অমিতা দেবীদের এক প্রতিবেশী সজল মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কীভাবে বৃদ্ধার এমন ঘটনা ঘটল সে বিষয়ে ছেলে নীলাঞ্জন স্পষ্ট করে কিছুই বলতে পারেননি। পেশায় শিক্ষক সজলবাবু আরও জানান, এ দিন প্রতিবেশীদের কাছে নীলাঞ্জন দাবি করেছেন, মায়ের সঙ্গে তাদের কোনও মনোমানিল্য ছিল না।
টিএ