আওয়ার ইসলাম : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় হাইকোর্টে অনুষ্ঠিত হবে। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ শুনানির জন্য এ দিন ধার্য রেখেছেন।
খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনটি সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের রোববারের দৈনন্দিন কার্যতালিকার ৩৬ নম্বর ক্রমিকে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এদিকে জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে হাইকোর্টে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সাজা বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে হাইকোর্ট।
৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে তাকে। সেখানে তার সময় কাটছে ইবাদত-বন্দেগি আর পত্রিকা পড়ে।
এদিকে শুনানিতে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের বিরোধীতা করবে দুদক। এ ঘোষণা আগেই দিয়ে রেখেছে সংস্থাটি। তবে সাজা বাড়ানোর বিষয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করবে কি না তা জানায়নি দুদক।
যে সব যুক্তিতে জামিন আবেদন
৩২টি আইনগত যুক্তি তুলে ধরে হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার জামিন চাওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আবেদনকারীর বয়স ৭৩ বছর। তিনি শারীরিকভাবে বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। ৩০ বছর ধরে গেঁটেবাত, ২০ বছর ধরে ডায়াবেটিস ও ১০ বছর ধরে উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। এছাড়া হাঁটু প্রতিস্থাপনের কারণে তার গিঁটে ব্যথা হয়, যা প্রচণ্ড যন্ত্রণাদায়ক। এ কারণে হাঁটাহাঁটি না করার ক্ষেত্রে চিকিত্সকের পরামর্শ রয়েছে।
শারীরিক এসব জটিলতার বিষয় এবং সামাজিক অবস্থান বিবেচনায় নিয়ে তার জামিন মঞ্জুরের আবেদন জানানো হয়েছে। এছাড়া উপমহাদেশসহ দেশের উচ্চ আদালতসমূহে দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে যে, যখন আসামি একজন নারী হয় তখন তার অনুকূলে জামিন বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
যে মামলায় তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও জামিন আবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
প্রসঙ্গত অরফানেজ মামলায় দণ্ডিত হয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, হাইকোর্ট যদি জামিন মঞ্জুর করে এবং বিবাদী পক্ষ জামিনের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যায় তাহলে খালেদা জিয়ার কারামুক্তি বিলম্বিত হতে পারে।