সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ ।। ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১০ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী বিরতিকে কাজে লাগিয়ে মুসলিম ফুটবলারদের ওমরা পালন ধর্ষণের বিচারে শরয়ি আইন থাকলে, কোন শিশু আর ধর্ষিত হতো না: উলামা-জনতা ঐক্য পরিষদ শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় ঈদে নতুন নোট বিতরণ স্থগিত ধর্ষণ এবং নারীর পরিচয় নিয়ে অবমাননায় ১৫১ আলেমের বিবৃতি ১০ম তারাবির নামাজে তিলাওয়াতের সারমর্ম ত্রাণ বন্ধের পর এবার গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করছে ইসরায়েল তারাবিতে ফাইভ জি স্পিডে তেলাওয়াত করবেন না: আজহারী ‘আলেমদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তোলা জিহাদ নয়, সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

মিয়ানমারের রাখাইনে তিনটি বোমা বিস্ফোরণ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তোর আশপাশে বিভিন্ন স্থানে তিনটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব ঘটনায় কেউ নিহত হয়নি বলে দেশটির পুলিশ এএফপিকে জানিয়েছে। শনিবার ভোর ৪টার দিকে উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তার বাড়িসহ আলাদা তিনটি জায়গায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দুই সপ্তাহের মধ্যে শুরু করার মিয়ানমারের ঘোষণার পর বোমা বিস্ফোরণের এই ঘটনা ঘটলো।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা বলেন, 'তিনটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে, আরও তিনটি বোমা অবিস্ফোরিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এতে একজন পুলিশ অফিসার আহত হয়েছেন তবে গুরুতর নয়।'

একটি বোমা স্টেট গভর্নমেন্ট সেক্রেটারির বাড়িতে বিস্ফোরিত হয়েছে। এছাড়া একটি অফিসের সামনে এবং রাস্তার উপরে বাকি দু'টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

ঘটনার পর বেশ কিছু রাস্তা পুলিশ বন্ধ করে রেখেছে বলে এফএফপিকে জানিয়েছেন জাও জাও নামে স্থানীয় এক নাগরিক।

রাখাইনের বিভিন্ন অংশে সহিংসতার ঘটনা প্রায়ই ঘটলেও রাজধানীতে এমন ঘটনা বিরল।

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা-অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে গত আগস্টে তল্লাশিচৌকিতে হামলার পর দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করে। প্রাণ বাঁচাতে রোহিঙ্গারা দলে দলে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করে। জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, এ দফায় প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এই রোহিঙ্গাদের প্রায় সবাই অভিযোগ করেছে, মিয়ানমারের সেনারা রাখাইনে অভিযানের নামে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়েছে।

জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এ অভিযানকে জাতিগত নির্মূল বলে আখ্যায়িত করেছে। তবে মিয়ানমার বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ