শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল

আলেম মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা মোস্তফা আজাদ; অজানা ৫

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রকিব মুহাম্মাদ
আওয়ার ইসলাম

১. আলেম  মুক্তিযোদ্ধা আল্লামা মোস্তফা আজাদ, মাওলানা শামছুদ্দীন কাসেমী রহ. এর ইন্তেকালের পর ১৯৯৬ সাল থেকে অদ্যাবধি রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী জামিয়া হোসাইনিয়া ইসলামিয়া আরজাবাদের মুহতামিমের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। আল্লামf মাওলানা মোস্তফা আজাদ একজন বিজ্ঞ মুফাসসিরে কুরআন ও দক্ষ মুহতামিম ছিলেন।

২. মাদরাসায় শিক্ষকতা করার পাশাপাশি বর্ষিয়ান এই আলেম ইসলামি রাজনীতির ময়দানেও রেখেছেন বিশেষ ভূমিকা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে  জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন।

৩. মাওলানা মোস্তফা আজাদ মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি সশস্ত্রযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। তার বাবা ছিলেন ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের অবসরপ্রাপ্ত সুবেদার মেজর। স্থানীয় যুবক, ছাত্রদের নিয়ে পাকিস্তানিদের প্রতিহত করতে গ্রামের মাঠে ট্রেনিং দিয়েছেন তিনি।

গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানাধীন ধলগ্রাম ইউনিয়নের সাধুহাটি গ্রামের মাঠে ট্রেনিং সেন্টার খুলেছিলেন মোস্তফা আজাদের বাবা। মুক্তিযুদ্ধে তার যুদ্ধের এলাকা ছিল মেজর অব. জলিলের নেতৃত্বাধীন ৯ নং সেক্টর।

৪. একবার এই আলেম মুক্তিযোদ্ধা রাগে-ক্ষোভে মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলেছিলেন। শাকের হোসাইন শিবলী রচিত ‘আলেম মুক্তিযোদ্ধার খোঁজে’ মোস্তফা আজাদ বলেন, ‘আমি একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। ৭১-এর নয় মাস পাকসেনাদের বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছি বহুবার। এটা আমার গর্ব।

আমার অহঙ্কার। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ওসমানীর সার্টিফিকেট ছিল আমার কাছে। সেই প্রমাণপত্র আমি ছিঁড়ে ফেলেছি এ অফিসকক্ষে। টুকরো টুকরো করে ছিঁড়েছি। কখন ছিঁড়েছি? যখন দেশের হালচাল পাল্টে গেছে। অযোগ্যরা ক্ষমতার মসনদে বসতে শুরু করেছে। রাজাকাররা রাষ্ট্রীয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধের পদক নিচ্ছে।’

৫ .দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ডায়বেটিস, প্রেসার ও কিডনিসহ নানাবিধ দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ছিলেন। রাজধানীর  একটি হাসাপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণকেন্দ্র আইসিইউতেও ছিলেন কিছুদিন।

৪ মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর ২৩ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) প্রবীণ এই আলেম ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ মেয়ে, ১ ছেলে, হাজার ছাত্র-শিষ্য ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ