শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল

ঢাকা টু কুমিল্লা কতদূর?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

এইচ এম মাহমুদ হাসান সিরাজী

৯০/৯৫ কি.মি. রাস্তা। এটা আবার ঢাকা চট্রগ্রামের হাইওয়ে। বাংলাদেশের মধ্যে ঢাকা চট্রগ্রামের গুরুত্ব অনেক অনেক বেশি।

ঢাকা টু চট্রগ্রাম যাতায়াত করতে হলে এ রাস্তাটাই প্রধানত ব্যবহার করতে হয়। ট্রেনের ব্যবস্থা থাকলেও আশুগঞ্জ -বি.বাড়ীয়া দিয়ে ঘুরে যেতে হয় বলে মানুষ এ রাস্তাটাই ব্যবহার করে থাকেন।

কিন্তু ব্রিজের কাজ চলার অজুহাতে এখন এ রাস্তায় বছরের ১২ মাস জ্যাম লেগে থাকে। কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও ফেনীর জনগণের জন্য এটা এখন দিন দিন বিষাক্ত হয়ে উঠছে।

৯০/৯৫ কি.মি. পথ ফাঁকা থাকলে দেড় ঘন্টার বেশি সময় লাগার কথা নয়। কিন্তু অনেক সময় পুরা দিনই এখানে দিয়ে দিতে হয়।

অথচ বর্তমান সরকারের সেতু ও যোগাযোগ মন্ত্রী এবং দলের সর্বোচ্চ দ্বিতীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ওবায়দুল কাদেরসহ এ রাস্তা দিয়ে আরো অনেক রথি মহারথিদের যাতায়াত করতে হয়।

ওয়ান বাই ওয়ান রোড। অনেক প্রশস্ততাও আছে। এরপরও আমাদের এখানে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হয়। এভাবে জ্যামে বসে থাকলে প্রশান্ত মনগুলোও অশান্ত হয়ে উঠে।

রোগী ও লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্স ও প্রবাসীদের যাতায়াতের বিষয়টি তো আছেই। তাছাড়া মানুষ কত জরুরি প্রয়োজনে ইমার্জেন্সিভিত্তিতে রাজধানীর সাথে যোগাযোগ রাখতে হয়।

এভাবে যদি ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামে আটকে থাকতে হয় তাহলে মানুষ করবে কী? দেড় ঘন্টার পথ যদি ৬/৭ ঘন্টায় যেতে হয় তাহলে গাড়িতে থাকা শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের অবস্থা হবে কী?

এ সমস্যা যে নতুন করে হয়েছে তাও কিন্তু নয়।

সবার মুখে একই কথা- কাজ তো চলে নিচে দিয়ে তাহলে উপরে জ্যাম থাকবে কেন? উপরে জ্যাম থাকার উল্লেখযোগ্য কারণও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

এ রোডের প্রায় সকল যাত্রীর ভাষ্যই হচ্ছে, প্রশাসন বা সেতুমন্ত্রী চাইলে আমাদের আর এমন দূর্ভোগের শীকার হতে হয় না।

লেখক: প্রিন্সিপাল, মাদরাসা উসমান ইবনে আফফান রা.


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ