শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল

লন্ডনের মসজিদে সবার জন্য খাদ্য কর্মসূচি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : প্রতি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জার্মানি থেকে আসা ইভাকে উত্তর লন্ডনের দিকে হেঁটে যেতে দেখা যায়। সেখান থেকে তিনি উষ্ণ খাবার সংগ্রহ করেন। লন্ডনের যারা গৃহহীন, তাদের জন্য এই খাবারটা আসলেই অনেক কিছু।

গত পাঁচ বছর ধরে লন্ডনে থাকছেন ইভা। আর তিন বছর ধরে তিনি গৃহহীন। একজন পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসেবে তার চাকরি হারানো পর থেকে তিনি রাস্তায় বসবাস করে আসছেন। তিনি একটি কাজের খোঁজে হন্যে হয়ে বেড়াচ্ছেন। লন্ডনের একটি গির্জা থেকে তিনি এরআগে খাবার সংগ্রহ করতেন। যেটা এখন প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।

গির্জা থেকে তিনি খাবার ও সামান্য আশ্রয় পাওয়ার আগে বিভিন্ন রেস্তোরাঁ ও ক্যাফেতে তিনি খাবার চেয়ে বেড়াতেন। কিন্তু তাদের নীতির কারণে তারা আমাকে খাবার দিতে চাইতো না বলে জানান তিনি।-খবর আনাদুলু সংবাদ সংস্থার।

গত দুই বছর ধরে ইভা ফিন্সবুরি পার্ক মসজিদ থেকে প্রতি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খাবার সংগ্রহ করেন। সেখানে তিনি রাতের খাবার খেয়ে অন্য গৃহহীন ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে আলাপ করেন। মসজিদ থেকে বিভিন্ন পদের ও বিভিন্ন দেশীয় খাবার দেয়া হয় গৃহহীনদের।

২০১৫ সালের আগস্টে ফিন্সবুরি পার্ক মসজিদ সবার জন্য খাদ্য কর্মসূচি চালিয়ে আসছে। সেখানে খাবার ছাড়াও অন্য সহযোগিতাও করা হয়। মসজিদ থেকে স্থানীয় নানা সুবিধা ও সেবা নিয়ে গৃহহীনদের তথ্য সরবরাহ করা হয়।

ফিন্সবুরি পার্ক মসজিদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ কোজবার বলেন, সবার জন্য খাদ্য কর্মসূচি একটি ছোট প্রকল্প। আমাদের কমিউনিটির সহায়তায় এটা আমরা চালু করেছি। সবারই উচিত এ ধরনের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ভেতরেও আমাদের অংশিদার আছে। তারা আমাদের এই প্রকল্পটি চালু করতে সহায়তা করেছে।

তিনি বলেন, এটা সবার জন্য উন্মুক্ত। যে কেউ এখান থেকে সেবা নিতে পারেন। ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সবাইকে আমরা খাবার দেয়ার চেষ্টা করি। বেকার ও গৃহহীনদের আমরা অন্যান্য সহযোগিতা দেয়ারও চেষ্টা করছি। যুগান্তর।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ