শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা ইসলামি লেখক ফোরামের বৈঠক অনুষ্ঠিত, আসছে নতুন কর্মসূচি সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে উত্তপ্ত খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা

সম্ভব হলে ইয়েমেনি মুজাহিদদের ১০০ ক্ষেপণাস্ত্র দিতাম: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ উজমা খামেয়ী বলেছেন, ইয়েমেনের মুজাহিদদের কাছে সম্ভব হলে কেবল একটি ক্ষেপণাস্ত্র নয়, বরং তাদের কাছে একশত ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাতাম।

তিনি বিশ্ব-অঙ্গনে জুলুম ও অশান্তি-দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং এসবের ধারক-বাহকদের অপদস্থ করা যে ইসলামী ইরানের অন্যতম প্রধান নীতি তা তুলে ধরতে গিয়ে এই মন্তব্য করেছেন।

সম্প্রতি (বৃহস্পতিবার) জাতীয় বিমান বাহিনী দিবস উপলক্ষে বিমান বাহিনীর কমান্ডার ও সদস্যদের এক সমাবেশে আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী মার্কিন সরকারের নানা জুলুমের নিন্দা জানানোর পাশাপাশি ওই মন্তব্য করেন।

তিনি ফিলিস্তিনি জাতির প্রতি দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইলের ৭০ বছরের সমর্থন ও ইয়েমেনিদের ওপর গণহত্যার প্রতি মার্কিন সমর্থনেরও তীব্র নিন্দা জানান। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এ প্রসঙ্গে বলেছেন: ইয়েমেনের

অবকাঠামোগুলোর ওপর ও দেশটির মজলুম জনগণের ওপর প্রতিদিন বোমা বর্ষণ করছে আমেরিকার মিত্ররা এবং তারা আমেরিকার নানা অস্ত্র দিয়েই বোমা বর্ষণ করছে। অথচ মার্কিন সরকার কোনো প্রতিবাদই করছে না, বরং চরম নির্লজ্জভাবে কয়েক টুকরা লোহা দেখিয়ে কোনো প্রমাণ ছাড়াই দাবি করছে যে ইরান এই ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে!

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এ প্রসঙ্গে আরও বলেছেন, ইয়েমেনের মুজাহিদ ও সংগ্রামীরা অবরোধের শিকার, তাদের কাছে কোনো কিছু পাঠানো সম্ভব হয় না, যদি সম্ভব হত তাহলে একটি ক্ষেপণাস্ত্র নয়, বরং তাদের কাছে একশত ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাতাম। কিন্তু তারা এতই অসহায় যে তাদের কাছে কিছুই পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না।

ইসলামের নির্দেশের কারণেই জালিমের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও মজলুমকে সহায়তা করা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেছেন, পশ্চিম এশিয়ায় প্রতিরোধকে নির্মূল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মার্কিন সরকার, কিন্তু আমরা তা হতে দেব না বলে ঘোষণা করে বাস্তবে তা প্রমাণ করেছি।

তিনি মার্কিন সরকারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এই সরকার তাকফিরি-ওয়াহাবি সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে কেবল দায়েশ বা আইএসআইএল তথা আইএস সৃষ্টি করেনি, তাদের মদদ যোগানোর পাশাপাশি খুব সম্ভবত নানা ধরনের পৈশাচিক ও নৃশংস নির্যাতনের প্রশিক্ষণও দিয়েছে ব্ল্যাক-ওয়াটারের মত হিংস্র সংস্থাগুলোকে দিয়ে।

কিন্তু এতসব নৃশংসতা ও নিষ্ঠুরতা সত্ত্বেও মার্কিন সরকার তার আন্তর্জাতিক প্রচারণায় নিজেকে মজলুমদের ও মানবাধিকারের এবং জীব-জন্তুর অধিকারের সমর্থক বলে দাবি করে থাকে।

সত্যকে তুলে ধরার মাধ্যমে মার্কিন সরকারের এইসব দাবিকে কলঙ্কিত করা উচিত বলে তিনি জোর দেন।

সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেছেন, আমেরিকাই যে দায়েশ সৃষ্টি করেছে এই সত্য কথাটি আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই তার নির্বাচনী প্রচারণার সময় স্বীকার করেছেন।

সূত্র: পার্স টুডে/এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ