শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল

সন্তান বাধ্য রাখতে যা করবেন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

শাহনাজ শারমিন

সবরকম সুযোগ-সুবিধা দিয়ে মানুষ করার জন্য আজকাল অনেক মা-বাবাই একটি মাত্র সন্তান চাইছেন। আবার তাদের মনে কিছুটা শঙ্কাও থেকে যাচ্ছে একমাত্র সন্তান মানেই বুঝি একরোখা, জেদি আর বদমেজাজি। একমাত্র সন্তানকে সঠিকভাবে মানুষ করাটাই জীবনের একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তাছাড়া ভাইবোন না থাকায় একমাত্র সন্তানকে ঘিরে থাকে অনেক একাকিত্ব।

অনেক সময় সন্তান তখন বাধ্য থাকতে চায় না। ফলে হতাশ হয়ে পরেন বাবা-মায়েরা। বাবা-মায়েরা মাঝে মাঝে বুঝে উঠতে পারেন না তাদের শিশু সন্তানেরা কেন মুখে মুখে তর্ক করে, কেনইবা শান্ত থেকে ক্রমশ অবাধ্য হয়ে ওঠে। সঠিক কারণ বুঝতে না পারার কারণে অবিভাবকেরা শিশুদের সঙ্গে এমন আচরণ করেন, যার ফলে হিতে বিপরীত হয়।

কিছু কিছু শিশুর নিজস্বতা থাকে, সব কিছুতেই নিজের মতামত থাকে। আর তারা তাদের সেই মত ব্যক্ত করতে চায়। নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করতে চায়। তখন তারা হয়ে ওঠে জেদি। তখন সব খারাপ কিছু যা তাদের ভালো লাগতে শুরু করে আর ভালোটা খারাপ লাগতে থাকে।

এই অবস্থায় বাবা-মা কি করবেন? হতাশ তখন তারা। কিন্তু শিশুর এমন আচরণ থেকে তাকে শোধরানোর উপায় কী?

একেবারেই কথা শুনছে না

এক্ষেত্রে অবিভাবকদের বুঝতে হবে শিশু বড় হচ্ছে তার চারপাশের পৃথিবী দেখতে দেখতেই। তার মনেও হাজারো কিছু জানতে চাওয়া, নানা আবেগ-অনুভুতি তৈরি হচ্ছে। কিন্তু সেগুলো সে এখনো তার বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সঠিক প্রয়োগ করতে শেখেনি। এক্ষেত্রে যুক্তি দিয়ে তার আবেগ-অনুভুতির প্রয়োগ শেখান।

বাজে কথা বলতে শিখছে
টিভি দেখতে শিশুকে নিষেধ করতে গেলেই সে তার খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিচ্ছে। কিন্তু টিভি দেখে এমন এমন বাজে কথা বলছে যাতে অন্যদের সামনে অপ্রস্তুত হয়ে যেতে হচ্ছে। একটা কথা মাথায় রাখবেন, টিভি দেখে যেসব খারাপ কথা বলতে শিখেছে, সে কিন্তু সেসব কথার মানে না বুঝেই বলছে। এক্ষেত্রে ওকে বোঝান ও যে কথাটা বলছে সেটা টিভির নেতিবাচক লোকটার বলা কথা। টিভিতেও যেমন নেতিবাচক লোকটাকে সবাই ঘৃণা করে, ও সেসব কথা বললে ওকেও সবাই ঘৃণা করবে।

রাগ হয়ে যা মুখে আসছে তাই বলছে
এমন অভিযোগের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা যায়, এই তুই-তোকারি ব্যাপারটা কিন্তু ওরা বাবা-মা কিংবা আশেপাশের পরিবেশ থেকেই শিখে নিচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায় শিশু হয়তো বাবা-মাকে আদর করে তুই সম্বোধন করছে, তখন তুই সম্বোধন শুনে তারা হাসছেন। কিন্তু যখনই রেগে গিয়ে শিশু তুই বলছে তখনই তারা তা মানতে পারছেন না। বড়দের ব্যবহারিক এই অসামঞ্জস্য শিশুর মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। যার থেকেই তারা অভব্য, অবাধ্য হয়ে পড়ে। তাই এমন বিপরীত ব্যবহার শিশুর সঙ্গে করবেন না।

কিছুতেই পড়তে চায় না

এমন অভিযোগ থেকে অনেক বাবা-মা শেষ পর্যন্ত শিশুর গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধাবোধ করেন না। শিশুর গায়ে হাত তোলা কখনো তার জিদ সংশোধনের পদ্ধতি নয়। এতে জিদ আরো বেড়ে যায়। তাকে বোঝাতে হবে সে যদি লেখাপড়া না করে তাহলে তাকে আর ওর স্কুলে পড়তে দেবে না। অন্য স্কুলেও তাকে ভর্তি করবে না। সে তার স্কুলের বন্ধুদেরও হারাবে। এসব কথা বলে তার পড়ার আগ্রহ তৈরি করুন।

বাজে আচরণ করছে

কাজের লোকের কাছ থেকেও অনেক কর্মরত দম্পতি অভিযোগ পেয়ে থাকেন, শিশু কাজের লোকের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। এসব ক্ষেত্রে শুধু কাজের লোকের কথা শুনেই কিন্তু শিশুকে অযথা বকাবকি করা ঠিক নয়। শিশুর থেকেও জানতে হবে কেন সে এমন আচরণ করছে। তার কথা না শুনেই তাকে বকাঝকা করলে তার রাগ-অভিমানগুলো বাড়তে থাকবে এবং সে আরো অবাধ্য হয়ে উঠবে।

যে কোনো কিছুর বায়না
অনেক শিশুই এমনটি করে থাকে। শিশু যখন বায়না করে তখন তাকে মুখের ওপর কিনে দেব না বলবেন না। কারণ ওরা সবসময় নিজের ইচ্ছার স্বীকৃতি পেতে চায়। ওকে বুঝিয়ে বলুন, ওকে পরে কিনে দেবেন। দেখবেন, দুদিন বাদেই ও ভুলে গেছে ওর আবদার।

আপনার শিশুকে গড়ে তোলার দায়িত্ব যেহেতু আপনারই সেহেতু শিশুকে শিশুর মতো করে বুঝুন। তার মতো করে মিশুন। তার আবেগ-অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করুন। তখন দেখবেন কোনো সমস্যাই আর কঠিন থাকবে না।

/এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ