আওয়ার ইসলাম
ন্যাশনাল সার্ভিস প্রোগ্রামের উপযুক্ত সদস্যদের কেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়া হবেনা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন মহামান্য হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই পদে তাদেরকে নিয়োগ দিতে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবেনা- তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেছেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রীপরিষদ সচিব, সংস্থাপন সচিব, শিক্ষা সচিব, অর্থ সচিব, যুব ও ক্রীড়া সচিবকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে গতকাল সোমবার বিচারপতি মোঃ আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি কে,এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। এর আগে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ন্যাশনাল সার্ভিস প্রোগ্রামের সাবেক ৪২ জন সদস্যের দায়ের করা রিট আবেদনে এই রুল জারি করা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সহসম্পাদক এ্যাডভোকেট মাজেদুল ইসলাম পাটোয়ারী উজ্জল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এর্টনি জেনারেল বশির আহমেদ।
জানা গেছে, রিট আবেদনকারীরা ২০১৩ সালের ১২ মে হাতীবান্ধা উপজেলায় ন্যাশনাল সার্ভিস প্রোগ্রামের আওতায় প্রশিক্ষণ শেষে নভেম্বর মাসে চাকরীতে যোগদান করেন। দুই বছর পর তাদের চাকরীর মেয়াদ শেষ হয়। চাকরীতে থাকার সময় ২০১৪ সালের ৩ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় একটি নীতিমালা জারি করে। এতে বলা হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে পুলভূক্ত শিক্ষক ও ন্যাশনাল সার্ভিস প্রোগ্রামের সদস্যরা অত্রাধিকার পাবেন। এখানে তাদের সমপর্যায়েরে স্বীকৃতি দেয়া হয়। এর মধ্যে পুলভূক্ত শিক্ষকরা হাইকোর্টে রিট দায়ের করলে তাদের শিক্ষক পদে নিয়োগের বিষয়টি সরকার বাস্তবায়ন করে। কিন্তু ন্যাশনাল সার্ভিস প্রোগ্রামের কর্মচারীরা উপেক্ষিত থাকেন।
আইনজীবী মাজেদুল ইসলাম পাটোয়ারী উজ্জল জানান, পুলভূক্ত শিক্ষকদের মতো ন্যাশনাল সার্ভিস প্রোগ্রামের চাকরীজীবীদের সমপর্যায়ের স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নীতিমালায়। কিন্তু নিয়োগের ক্ষেত্রে পুলভূক্ত শিক্ষকদের নিয়োগ দেয়া হলেও ন্যাশনাল সার্ভিস প্রোগ্রামের চাকরীজীবীদের নিয়োগ দেয়া হয়নি। এটা বৈষম্যমূলক এবং বেআইনী। আদালত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন।
জানা যায়, হাতীবান্ধা উপজেলার মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ আনোয়ার হোসেন, বিপ্লব চন্দ্র সাহা, সাদেকুল ইসলাম, রেবেকা সুলতানা, খাদিজা বেগম ও খায়রুল ইসলামসহ ৪২ জন এই রিট দায়ের করেন।