আওয়ার ইসলাম
১৬ দিন ধরে দেশের ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন কয়েক হাজার কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের (সিএইচসিপি) কর্মীরা।
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে আন্দোলনরত কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক মো. ফয়সাল বলেন, '১৬ দিন ধরে আমরা আন্দোলন করছি। সারাদেশে ১৪ হাজার ৩২১টি কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি কর্মীরা আন্দোলন করছেন। ফলে ১৬ দিন ধরে গ্রামের সব কমিউনিটি ক্লিনিকের চিকিৎসাসেবা বন্ধ আছে।'
সিএইচসিপি কর্মীরা তাদের চাকরি রাজস্বকরণের দাবিতে ২০, ২১, ২২ জানুয়ারি স্ব-স্ব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে, ২৩ ও ২৪ জানুয়ারি স্ব-স্ব জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অবস্থান, সিভিল সার্জন, জেলা প্রশাসক এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি পেশ করেন।
২৭ থেকে ৩১ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এরপর দাবি আদায় না হওয়ায় গত ১ ফেব্রম্নয়ারি থেকে সোমবার ৫ ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত্ম আমরণ অনশন করছেন।
সংগঠনের সদস্যসচিব মো. নঈম উদ্দিন বলেন, ২০ জানুয়ারি হতে উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভাসহ সব ধরনের অনলাইন ও হার্ডকপি রিপোর্ট বন্ধ আছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত্ম এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, '৪ ফেব্রম্নয়ারি রাতে আমাদের আন্দোলন বন্ধ করার জন্য অন্যায়ভাবে পাঁচজন মুক্তিযোদ্ধার সন্ত্মানসহ আটজনকে সাময়িক বরখাস্ত্ম করা হয়েছে।'
সংগঠনের আহ্বায়ক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা গত ৬ বছরে প্রায় ৬৫ কোটিরও বেশিবার কমিউনিটি ক্লিনিকে আগত সেবা গ্রহীতাকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছি। উচ্চতর পর্যায়ে রেফারেলসহ এ পর্যন্ত্ম সফলতার সঙ্গে ৯ হাজারেরও বেশি স্বাভাবিক প্রসব পরিচালিত হয়েছে। তবুও তারা নিজেদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন এক গভীর দুশ্চিন্ত্মা ও হতাশার মাঝেই অতিবাহিত করছেন।
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের সামগ্রিক কর্মকা-ের সফলতা এবং ডিজিটাল স্বাস্থ্য খাতের আমূল পরিবর্তনে অগ্রণী ভূমিকা থাকায় কর্তৃপক্ষ স্বেচ্ছায় ২০১৩ সালে আমাদের চাকরি রাজস্ব খাতে অন্ত্মর্ভুক্ত করণের উদ্যোগ নেয়। বিগত দিনে আমাদের রাজস্বের দাবি আদায়ে আন্দোলনের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং প্রকল্প পরিচালক আমাদের আশ্বস্ত্ম করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজ পর্যন্ত্ম সে উদ্যোগ বাস্ত্মবায়ন হয়নি।
আমরা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করায় আদালত রাজস্বকরণের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেন। যার পিটিশন নম্বর ১৯৫০। তারপর আমাদের দাবি আদায় হয়নি। আমরা এখন আমরণ অনশন শুরম্ন করেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত্ম এ অনশন কর্মসূচি চলবে।'