২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন স্বীকৃতির ঘোষণা দেন ট্রাম্প। মুসলিম বিশ্ব ছাড়াও ইউরোপসহ দুনিয়াজুড়ে তার ওই ঘোষণা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। পোপ ফ্রান্সিসও রয়েছেন এই সমালোচকদের তালিকায়। ওই অবস্থানের জন্য পোপকে ধন্যবাদ জানান এরদোগান। পোপও জেরুজালেম ইস্যুতে নেওয়া অবস্থান এবং শরণার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এরদোগানের প্রশংসা করেন।
আলোচনায় বিদেশিদের সম্বন্ধে অহেতুক ভয় এবং ইসলাম বিদ্বেষ বা ইসলামভীতি দূর করত সমন্বিত প্রচেষ্টা চালানো নিয়েও কথা বলেন দুই নেতা। উভয়েই জোর দিয়ে বলেন, ইসলামকে সন্ত্রাসবাদের সমার্থক হিসেবে তুলে ধরা ভুল পদক্ষেপ। সব পক্ষকেই উসকানিমূলক মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকতে হবে।
এরদোগান বলেন, তুরস্ক ক্যাথলিক খ্রিস্টানসহ সব ধর্মের মানুষ শান্তিতে বসবাস করছেন।
ফিলিস্তিন ইস্যুতে ভ্যাটিকান সিটি সবসময়ই দুই রাষ্ট্র সমাধানকে সমর্থন করে। ফিলিস্তিনিরা পূর্ব জেরুজালেমকে তাদের ভবিষ্যৎ রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করে।
ভ্যাটিকান সফরে যাওয়ার আগে এরদোগান বলেন, জেরুজালেম ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে পুরো দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনি রাজধানী হিসেবে মেনে নেওয়া উচিত। আমরা এটা নিয়ে কাজ করবো।’
সূত্র : দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট
/এটি