শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা নেতানিয়াহুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ইসরায়েলি নাগরিক গ্রেপ্তার ‘উলামায়ে কেরামদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন অসম্ভব’ নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮ ফিলিস্তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত 'ঢাবি ও জাবির হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে' ঢাবিতে যুবক হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আটক কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে বিসিএস এ অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া বৈষম্য: মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই  সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকায় সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ

নির্বাহী কমিটির বৈঠকে বিচার নিয়ে যা বললেন খালেদা জিয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম :  বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, নিম্ন আদালত সরকারের পুরো কব্জায়। কতটা কব্জায় তারাই ভালো বলতে পারবেন। তবে এটা সত্য, সঠিক রায় দেয়ার ক্ষমতা এখন তাদের (বিচারকদের) নেই। শনিবার সকালে উত্তরার হোটেল লা মেরিডিয়ানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভার উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর বিমানবন্দর রোডের হোটেল লা মেরিডিয়ানে অনুষ্ঠিত দলের নির্বাহী কমিটির সভায় উদ্বোধনী ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।

সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার উদাহরণ টেনে খালেদা জিয়া বলেন, ‘তারেক রহমানের মামলায় সঠিক রায় দেয়ার কারণে নিম্ন আদালতের এক বিচারককে দেশ ছাড়তে হয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে বলে রেহাই পাননি প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা। তাকেও দেশ ছাড়তে হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশে আজ বিচার কোথায়? কোনো অপরাধ আমি করিনি। তারপরও গায়ের জোরে বিচার করতে চাইছে সরকার। পিপি সাহেবকে দিয়ে এমনভাবে কথা বলতে বাধ্য করা হয়, যাতে তার স্বর শুনলে বোঝা যায়, শক্তিটা আসছে কোথা থেকে!’

সরকার প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগে বাধ্য করেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির চেয়ারপাসন বেগম খালেদা। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগে বাধ্য করেছে। যারা নিজেদের গণতান্ত্রিক বলছেন, তারা অস্ত্রের মুখে জোর করে মিথ্যা তথ্য দিতে বাধ্য করছে। এদের মধ্যে আর মঈন- ফখরুদ্দিনের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।

খালেদা জিয়া বলেন, দেশের ক্রান্তিকাল চলছে। আমরা এখানে সভা করতে চাইনি। কিন্তু কেন সভা করতে দেয়া হলো না। বিএনপি সবচেয়ে বড়দল। তারপরও বলবেন দেশে গণতন্ত্র আছে।

তিনি বলেন, ডিজিটাল আইনের নামে নতুন কালাকানুন করা হচ্ছে। সাংবাদিকরা সত্য কথা বলে। সেইকথাগুলো যখন মানুষ শুনে তখন জনগণের অধিকার হরণ করতে নতুন আইন করা হচ্ছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, তারা বলছে নির্বাচন হবে ডিসেম্বরে। প্রচার করে বেড়াচ্ছে। নৌকা এমন ডোবা ডুবছে যে তোলার জন্য এত আগে ভোট চাইতে হচ্ছে, হাত তুলে ওয়াদা করাতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, আবার আগের মতো গুম-খুন, নির্যাতন চালিয়ে দেশে ভীতিকর পরিস্থিতির তৈরা করা হচ্ছে। বাড়িবাড়ি গিয়ে ধরে নেয়া হচ্ছে নেতাকর্মীদের। তারা জানে বিএনপির সম্পর্ক জনগণের সঙ্গে। তাই মানুষের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে পারলে সুবিধা।

বিএনপি নেত্রী বলেন, সংসদ বহল রেখে নির্বাচন করতে চায়। এটা কোনো দেশে নেই। নিজস্ব দলীয় লোকদের প্রশাসনে বসানো হচ্ছে। তারা মনে করে নির্বাচনী বৈতরণী পার করতে সহযোগিতা করবে। কিন্তু তারা যদি একটু নিরপেক্ষ ভুমিকা পালন করার তাহলে কারো কোনো কথা শুনবে না। কারণ তারা এদেশের নাগরিক। প্রশাসনকে দলীয়করণ করে ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধান থেকে উঠিয়ে দেয়া হলো। কিন্তু এটা তো আমাদের দাবি ছিল না। আওয়ামী লীগ ও জামাতের দাবি ছিল। তারা ১৭৩ দিন হরতাল করেছিল। চট্টগ্রাম বন্দর অচল করে দিয়েছিল।

খালেদা বলেন,  পুলিশও চায় নিরপেক্ষ গণতন্ত্র থাকুক। কিন্তু তাদের প্রতি নির্দেশ দেয়া। নির্দেশ পালন না করলে পরিণতি ভালো হবে না। বিএনপির সঙ্গে জনগণ, পুলিশ, সশ্বস্ত্র বাহিনী আছে। যারা বাইরে আছে তারাও আমাদের সঙ্গে আছে। তাই বিএনপির কোনো ভয় নেই। ভয় আছে আওয়ামী লীগ।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ