সাখাওয়াত উল্লাহ : অভিবাসনের উচ্চ হার বজায় থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ ইউরোপে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ৭ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে মার্কিন গবেষণা সংস্থা ‘পিউ রিসার্চ সেন্টার’ এমনই তথ্য দিয়েছে।
সাম্প্রতিক এই গবেষণার রিপোর্টে তারা তিন ধরণের পরিস্থিতির পূর্বাভাস দিয়েছে। প্রতিটি পরিস্থিতিতে বিভিন্ন অভিবাসনের হার বিবেচনা করে পূর্বাভাস করা হয়েছে।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের প্রকাশ করা রিপোর্টে জানানো হয়, বর্তমানে ইউরোপের ৩০ টি দেশের মধ্যে প্রায় ২ কোটি ৫৮ লাখ মুসলিম বাস করে, যা ইউরোপের মোট জনসংখ্যার ৪.৯ শতাংশ। তবে যদি বর্তমানের উচ্চ অভিবাসনের হার বজায় থাকে তাহলে ২০৫০ সালের মধ্যেই মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে সাত কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
যদি মধ্যম অভিবাসনের হার চলতে থাকে, তাহলে ২০৫০ সালের মধ্যে পুরো ইউরোপ জুড়ে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ৫ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। এর ফলে ইউরোপে মুসলিম জনসংখ্যা হবে পুরো জনসংখ্যার প্রায় ১১.২ শতাংশ।
সবশেষ পরিস্থিতিতে বলা হয়েছে, যদি অভিবাসন একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে ২০৫০ সালের মধ্যে এই জনসংখ্যা প্রায় ৩ কোটিতে গিয়ে দাঁড়াবে, যা হবে পুরো জনসংখ্যার ৭.৪ শতাংশ।
এই রিপোর্টে আরও জানানো হয়, যদি এই উচ্চ অভিবাসনের হার অব্যাহত থাকে, তাহলে জার্মানি এবং সুইডেনের মুসলিম সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাবে। গত বছরে জার্মানির মোট জনসংখ্যার ৬ শতাংশই ছিল মুসলিম। তবে তারা যদি বর্তমানের উচ্চ হারে শরণার্থী এবং অভিবাসীদের প্রবেশ অব্যাহত রাখে তাহলে মুসলিম জনসংখ্যা ২০৫০ সালের মধ্যে পুরো জনসংখ্যার ২০ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে।
সুইডেনে ২০১৬ সালে জনসংখ্যার ৮ শতাংশই ছিল মুসলিম, এবং অভিবাসনের এই উচ্চ হার চলতে থাকলে এই সংখ্যা প্রায় ৩১ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে।
বর্তমানে ইউরোপই হচ্ছে অভিবাসীদের জন্যে স্বর্গরাজ্য। জীবনযাত্রার মান এবং কর্মসংস্থান - এই দুই দিক দিয়েই অন্যান্য বিশ্বের অন্যসব রাষ্ট্রের চেয়ে এগিয়ে থাকায় প্রতি বছর ইউরোপে পাড়ি জমায় অসংখ্য মানুষ। একারণেই প্রতিনিয়তই বেড়ে চলছে ইউরোপের জনসংখ্যা।