শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

বিয়েতে কি মেয়েদের কবুল বলা শর্ত?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: প্রশ্ন: বিয়েতে মেয়েরা মুখে উচ্চারণ করে কবুল বলবে, এটা কি শর্ত?যদি হয় তাহলে কতবার বলবে, কাদের শুনিয়ে বলতে হবে, কাজিকে কি শুনতে হবে, মুখে না বলে স্বাক্ষর করা কি যথেষ্ট হবে?

উত্তর : বিয়েতে মেয়েরা জোরে আওয়াজ করে, কাজিকে শুনিয়ে অথবা লোকদের শুনিয়ে কবুল বলতে হবে-এই বিধান বিয়ের মধ্যে নেই। ইসলামী বিয়ের বিধানে নেই। এটা হয়তো সমাজে প্রচলন থাকতে পারে। এখানে কবুলের কিছুই নেই। কারণ মেয়েদের জন্য কবুলের কোনো মাসয়ালা এখানে আসেনি। মেয়েদের শুধু অনুমতি দেওয়ার বিধান আছে।

মেয়ের অভিভাবক বা ওলি তাকে জিজ্ঞেস করবে যে অমুকের কাছ থেকে তোমার বিয়ের প্রস্তাব এসেছে। আমি তাঁর কাছে তোমাকে বিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে প্রস্তাব দিচ্ছি। তুমি রাজি আছো কি না। ওলি যিনি হবেন, শুধু তিনিই জিজ্ঞেস করবেন, অন্য কেউ না।

সেখানে কাজি, সাক্ষীর কোনো দরকার নেই। সে ক্ষেত্রে মেয়ে যদি চুপ থাকে তাহলে এটা অনুমতি, মেয়ে যদি মৌখিকভাবে বলে আমি রাজি আছি, তাহলে এটা অনুমতি। অনুমতির কতগুলো ধাপ আছে। স্বাক্ষরের বিষয়টি এখানে না, সেটি অন্য বিধান, শরিয়ার বিধানের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।

কিন্তু যদি মেয়ে জোরে আওয়াজ করে, কান্নাকাটি করে, যার মাধ্যমে তাঁর নারাজির বিষয়টি বোঝা যায় অথবা সে তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্ট করে বলে যে, এই ব্যক্তির কাছে আমাকে বিয়ে দিতে পারবেন না, আমি রাজি নই। যখন তাঁর নারাজি স্পষ্ট হবে, তখন ওলির জন্য জায়েজ নেই এই জায়গাতে তাকে বিয়ে দেওয়া।

কন্যার অনুমতি ছাড়া জোর করে বিয়ে দেওয়া জায়েজ নেই। যদি সে স্পষ্ট করে নিষেধ করে থাকে, তাহলে সেখানে বিয়ে দেওয়া জায়েজ নেই। যখন ছেলের কাছে প্রস্তাব নিয়ে যাওয়া হবে, তখন ছেলে কবুল বলবে এবং সেখানে অবশ্যই সাক্ষী থাকতে হবে।

মেয়ের অভিভাবক বা ওলি যাবে ছেলের কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে, তখন ছেলে বলবে আমি কবুল করলাম। যারা ছেলের এই কবুল শুনবেন, তারা সাক্ষী থাকবেন। এই কবুলের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন হবে। কবুল শুধু ছেলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এবং মেয়ের ক্ষেত্রে অভিভাবক অনুমতি নিলেই যথেষ্ট।

উত্তর দিয়েছেন, মাওলানা  ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ। সুত্র এনটিভি অনলাইন।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ