শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ইসলামি লেখক ফোরামের বৈঠক অনুষ্ঠিত, আসছে নতুন কর্মসূচি নিজের হাতে আইন তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স উত্তপ্ত খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা নেতানিয়াহুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ইসরায়েলি নাগরিক গ্রেপ্তার ‘উলামায়ে কেরামদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন অসম্ভব’ নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮ ফিলিস্তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত 'ঢাবি ও জাবির হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে'

একজন এসপি জহির ভাই ও আমার আহবান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হাবিবুর রহমান মিছবাহ: ইসলাম সবসময়ই বিজয়ী ধর্ম। পৃথিবীতে ইসলাম কখনো হারেনি। কখন কিভাবে কোন মাধ্যমে দীনের বিজয় আসবে তা কেবল আল্লাহই ভালো জানেন। গৌরগোবিন্দ বাহিনীর মোকাবেলায় হযরত শাহজালাল রহ.-এর ঈমানদীপ্ত কাফেলার বিজয়ের সূচনা হয়েছিলো স্রেফ এক টুকরা গোস্তের মাধ্যমে। কে বুঝেছিলো সে গোস্তের টুকরাটিই ধ্বংস করে দিবে গৌরগোবিন্দের প্রাসাদ!

শেখ বোরহানুদ্দীন রহ. মানত করেছিলেন, আল্লাহ তাআলা যদি তাঁকে পুত্র সন্তান দান করেন, তাহলে আকীকা হিসেবে এলাকার মানুষকে একটি গরু জবাই করে খাওয়াবেন। অথচ ঐ সময় রাজা গৌরগোবিন্দের পক্ষ হতে গরু জবাই করার উপর ছিলো কঠোর নিষেধাজ্ঞা। আল্লাহ তাআলা শেখ বোরহানুদ্দীন রহ.কে একটি পুত্র সন্তান দান করলেন। শেখ সাহেব শুকরিয়া স্বরূপ গরু জবাই করলেন।

গোস্ত কুটে বাড়ী বাড়ী বন্টন করে দিচ্ছিলেন। এমন সময় একটি কাক এসে ছোঁ মেরে এক টুকরা গোস্ত নিয়ে যায়। গোস্তের টুকরাটি নিয়ে ফেলে রাজা গৌরগোবিন্দের মূল ফটকে। ব্যস! জালিম শাসক গৌরগোবিন্দ শেখ বোরহানুদ্দীনের হাত কেটে দিলো। শিশুপুত্র গুলজারকে শহীদ করলো। সন্তানের মৃত্যু দেখে মা-ও অজ্ঞান হয়ে মারা গেলো। শুরু হলো জিহাদ। শেষ হাসিটা ইসলামের। হযরত শাহজালাল ইয়ামেনী রহ.-এর তৌহিদী কাফেলার আযানের ধ্বনীতে গৌরগোবিন্দের সব লীলা ধ্বংস হলো।

আমার কেনো যেনো মনে হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী মুসলিম নিধনের আড়ালেই মহাবিজয় লুকিয়ে আছে। কখন কিভাবে হবে তা রব্বে কারীমই ভালো জানেন। বিজয় সু-নিশ্চিত ইনশাআল্লাহ। আসলে গর্ভবতী মহিলার প্রসব বেদনা যতো বেশী হবে, ডেলিভারীও ততো সহজে হয়।

বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা যেভাবে নিপীড়িত হচ্ছে, তাতে বিজয় খুব কাছেই মনে হচ্ছে। এ বছর প্রায় মাহফিলের আয়োজনে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের লোকজন জড়িত। তারা নিজ উদ্যোগ ও শ্রম দিয়ে আয়োজন করছেন বিশাল বিশাল দীনি মাহফিলের। বয়ানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত থাকেন স্টেজে। হক-বাতিল চিনতে শুরু করেছে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। তারা সচেতন হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ!

এখন আর বিদআতীদের অখাদ্য-কুখাদ্য গিলছে না তারা। ১৩/০১/১৮ মাহফিল ছিলো কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের আলকড়া এলাকায়। মতিঝিল জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (গোয়েন্দা) জহির ভাই দাওয়াতটি দিয়েছেন। অত্যন্ত বিনয়ী ও নিরীহ স্বভাবের লোক জহির ভাই। এলাকার মসজিদ, মাদরাসা ও ঈদগাহ'র বড় ডোনার জহির ভাই। তবে দু:খিত! মাহফিল কর্তৃপক্ষের পূর্ণ প্রশংসা করতে পারছি না আমি। তারা জহির ভাইকে ব্যবহার করে আমার মাধ্যমে ফায়দা তুলেছে বলেই মনে হয়েছে। সার্বিকভাবে পূর্ণ মার্ক জহির ভাই-ই পাবার যোগ্য।

জহির ভাই নিতান্তই একজন ভদ্র মানুষ। পাশে বসেই বয়ান শুনেছেন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। আমার লেখা 'পাশ্চাত্যের মোকাবেলায় নববী আদর্শ' বইটি হাদিয়া দিলাম তাকে। বয়ান শেষে গাড়ী পর্যন্ত এগিয়ে দিয়েছেন। অনেকগুলো মটরসাইকেল দিয়ে বিশ্বরোড হতে এগিয়ে নিয়েছেন। বয়ান করেছি পরিবেশ পরিচ্ছন্নতা, হাই কমেট, দাঁড়িয়ে প্রসাব করা ও মহিলাদের পাক-পবিত্রতা নিয়ে।

কথা বলেছি জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসেনর লোকদের দীন কায়েমে ভূমিকা কী হবে তা নিয়েও। সন্ত্রাস দমনে আলেম উলামা ও গণমানুষের ঐকবদ্ধ প্রতিরোধের বিকল্প নেই। সুদ ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছি। আশ্বাস দিয়েছি, আপনাদের সব ভালো কাজের সহযোগী হিসেবে আমাদের পাবেন। আমাদের দীন বিজয়ের আন্দোলনেও তাদেরকে পাশে থাকার আহবান করেছি।

বলেছি, সমাজ বিনির্মাণে আমরা একে অপরের সহযোগী ও পরিপূরক। ০৯/০১/১৮ও মাহফিল ছিলো পাশের এলাকা গুণবতীতে। সেখানে যুব সমাজের দায়িত্ব-কর্তব্য ও করণীয়-বর্জনীয় নিয়ে আলোচনা করেছি। কমিটি, যুব সমাজ ও ওলামায়ে কেরামের আচরণে বার বার ঐ এলাকায় যাবার আগ্রহ তৈরী হয়েছে। যদিও তা সম্ভব নয়। কেননা, সময়ের কাছে সবাই অসহায়।

এইচজে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ