সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২৫ কার্তিক ১৪৩১ ।। ৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
উপদেষ্টাদের দপ্তর বদল, কে পেলেন কোনটি আলওয়াসি হজ্ব গ্রুপ মিট আপ ১৬ নভেম্বর, যেভাবে করবেন রেজিস্ট্রেশন শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র হত্যা মামলায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার ‘জুলাই গণহত্যার দ্রুত বিচার কার্যকরের দাবিতে সুস্পষ্ট রূপরেখা প্রণয়নের আহ্বান’ শপথ নিলেন নতুন ৩ উপদেষ্টা খেলাফত মজলিস নিউইয়র্ক শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের তালিকা চূড়ান্ত করতে গণবিজ্ঞপ্তি শায়খ আহমাদুল্লাহকে একুশে পদক প্রদানের প্রস্তাব কেন, জানালেন মুফতি এনায়েতুল্লাহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মঞ্চে মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী সড়ক দুর্ঘটনায় ইমামের মৃত্যু

অস্থিতিশীল ইরান : সিআইএ’র পরিকল্পনা, ইসরায়েলের সহায়তা, সৌদির অর্থায়ন!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

এ এস এম মাহমুদ: হঠাৎ অস্থির হয়ে উঠলো ইরান। মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সাধারণ বিক্ষোভ হয়ে ওঠলো সহিংস। দ্রুত ছড়িয়ে পড়লো দেশব্যাপাী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গলদঘর্ম রুহানি প্রশাসন। ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর এত বড় ও সহিংস বিক্ষোভ ইরানবাসী আর দেখেননি।

আজ শুক্রবার পর্যন্ত মারা গেছেন অন্তত ২২ জন বিক্ষোভকারী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাওয়া সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে মারা যান এরা।

কিন্তু নিকট অতীতে রাজনৈতিকভাবে মোটামুটি শান্ত থাকা তেহরানের রাজপথ আকস্মিকভাবে এমন অস্থির হয়ে ওঠলো কেন? এর পেছনের কারণ কী? দেশটির প্রধান আইন কর্মকর্তার দাবি, এর পেছনে হাত রয়েছে বাইরের শক্তির।

আইন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর মোন্তাজারি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ গত চার বছর ধরে ইরানে সরকার উৎখাতের একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছিলো। সিআইএ’র কাছে প্রকল্পটির নাম Consequential Convergence Doctrine. এটি বাস্তবায়নে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাকে সহায়তা করছিলো ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের একটি দল। আর পুরো প্রক্রিয়ার অর্থায়নে আছে ইরানের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরব।

বিক্ষোভের মাধ্যমে দেশব্যাপী অস্থিরতা তৈরি করে জোরপূর্বক সরকারকে উৎখাত করার পরিকল্পনা ছিল দেশ তিনটির- এমনটাই দাবি মোন্তাজারির।

তিনি বলেন, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার পরিকল্পনাতেই এই নৈরাজ্য তৈরি করা হয়। যাতে সহায়ক ছিলো ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। আর অর্থায়নে ছিলো সৌদি আরব। যার মূল লক্ষ্য ছিলো ইরানকে লিবিয়া-তিউনিসিয়ার মতো ধ্বংস করে ফেলা।

তেহরানের এমন দাবির আগেই অবশ্য বিক্ষোভকারীদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের কথা জানিয়ে তিন দিন আগে টুইট করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় ইরানের অস্থির পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহু সরকারের ‘সন্তুষ্টি’র খবর।

এদিকে বিক্ষোভকারীদের সমর্থন দেয়ায় বিশ্বনেতাদের তোপের মুখে পড়তে হয় যুক্তরাষ্ট্রকে। সহিংস পরিস্থিতির জন্য ওয়াশিংনটনকেও দায়ী করা হয়।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ, পরমাণু অস্ত্র, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ইরানের সাথে যৌথভাবে কাজ করছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। কারণ আমরা মনে করি শুধু আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাই নয়, বিশ্ব শান্তির জন্য বড় ফ্যাক্টর ইরান। তাই যুক্তরাষ্ট্রসহ কোনো দেশের এমন মন্তব্য বা পদেক্ষেপ নেয়া উচিত নয়, যা এই স্থিতিশীলতাকে হুমকির দিকে ঠেলে দেয়।’

ভেনেজুয়েলা প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, ‘শান্তিপূর্ণ ইরানকে অস্থিতিশীল করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। কারণ দেশটির লক্ষ্যই হলো বিশ্বব্যাপী আধিপত্য বিস্তার করা। তবে এই ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই মানা হবে না, ইরানকে সমর্থন দেবে ভেনেজুয়েলা।’

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানও ট্রাম্পের অবস্থানের সমালোচনা করে তেহরানের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন।

অপর দিকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যেই ইরানের ওপর নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার অভিযোগ এনে ইরানের ৫ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়।

দাবি করা হয়, পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র তৈরী এবং উন্নয়নে জড়িত ছিলো প্রতিষ্ঠানগুলো; যা ইরানের সাথে ছয় পরাশক্তির হওয়া পরমাণু চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের শামিল।

এইচজে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ