ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষকের রুম থেকে অপর নারী শিক্ষককে তালা ভেঙ্গে উদ্ধার করা হয়। তাকে নিজ অফিস রুমে তালাবদ্ধ করে রেখে যান বিভাগের একজন সহকারী অধ্যাপক।
আজ শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের ৩০৪০ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আবু হোসেন মুহম্মদ আহসান এসে তালা ভেঙে ওই নারী শিক্ষককে উদ্ধার করেন। খবর এনটিভির।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপকের স্ত্রী তাঁর স্বামীর কক্ষে এসে দরজায় কড়া নাড়েন। কিন্তু তাঁর স্বামী ১০ মিনিট পরে দরজা খুলেই দরজায় তালা লাগিয়ে দেন। তাঁর মোবাইল ফোন কেড়ে নেন এবং তাঁকে টেনেহিঁচড়ে নিচে নামানোর চেষ্টা করেন।
কিন্তু তিনি কক্ষের সামনেই দাঁড়িয়ে থাকেন এবং পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আবু হোসেন মুহম্মদ আহসান এসে দরজার তালা ভেঙে ওই নারী শিক্ষককে বের করে প্রক্টরের কার্যালয়ে নিয়ে যান।
শিক্ষকের স্ত্রী বলেন, মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকের স্ত্রী এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের ওই নারী শিক্ষকের সঙ্গে তাঁর স্বামীর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেছেন।
তিনি আরও বলেন, নারী শিক্ষক তাঁর স্বামীকে বিভিন্ন সময় মোবাইলের এসএমএস ও ইমেইলের মাধ্যমে ভালোবাসার বার্তা দিতেন। এর আগে চলতি বছরের ৫ আগস্ট তিনি একই কক্ষে আপত্তিকর অবস্থায় দুজনকে পেয়েছিলেন। বিষয়টি বিভাগের শৃঙ্খলা কমিটি পর্যন্ত গড়ায়।
তালাবদ্ধ ঘরে থেকে ‘উদ্ধার হওয়া’ ওই নারী শিক্ষক বলেন, তাঁর বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি কর্মশালা থাকার কারণে তিনি বিভাগে যান। সেখান থেকে তিনি মনোবিজ্ঞান বিভাগের ওই শিক্ষকের কার্যালয়ে যান একটি জার্নালে লেখা প্রকাশের বিষয়ে কথা বলতে। পরে তাঁর স্ত্রী এলে তাঁকে ঘরে তালাবদ্ধ রেখে তিনি চলে যান। কেন তালা লাগাল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমারও তার কাছে একই প্রশ্ন কেন আমাকে লক করে চলে গেল?’
এ ব্যাপারে অভিযোগের বিষয়ে মনোবিজ্ঞানের ওই শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
এদিকে, এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগে কোনো কর্মশালা ছিল না বলে বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক মেহতাব খানম জানান। তিনি বলেন, ‘আমার জানা মতে বিভাগে কোনো ওয়ার্কশপ ছিল না।’
উদ্ধারকারী সহকারী প্রক্টর আবু হোসেন মুহম্মদ আহসান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন দেখবে।’