সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ ।। ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১০ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী বিরতিকে কাজে লাগিয়ে মুসলিম ফুটবলারদের ওমরা পালন ধর্ষণের বিচারে শরয়ি আইন থাকলে, কোন শিশু আর ধর্ষিত হতো না: উলামা-জনতা ঐক্য পরিষদ শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় ঈদে নতুন নোট বিতরণ স্থগিত ধর্ষণ এবং নারীর পরিচয় নিয়ে অবমাননায় ১৫১ আলেমের বিবৃতি ১০ম তারাবির নামাজে তিলাওয়াতের সারমর্ম ত্রাণ বন্ধের পর এবার গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করছে ইসরায়েল তারাবিতে ফাইভ জি স্পিডে তেলাওয়াত করবেন না: আজহারী ‘আলেমদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তোলা জিহাদ নয়, সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ভারত সরকারের ‘তিন তালাক বিল’ নারী অধিকার বিরুদ্ধ : মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

তাওহীদ মাদানী
দেওবন্দ থেকে
অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের এক সাধারণ বৈঠকে ঘোষণা করা হয়েছে, ভারত সরাকরের পেশকৃত 'বিবাহিত নারীদের অধিকার সুরক্ষা' আইন মুসলমানদের জন্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়৷ উক্ত আইন স্বয়ং নারী অধিকার বিরুদ্ধ এবং তাদের অসুবিধা ও সমস্যার অন্যতম কারণ৷

উপরন্তু এটি ইসলামী বিধানের মাঝে স্পষ্ট হস্তক্ষেপ৷ সংবিধানে ইসলামী আইন ও ধর্মীয় স্বাধীনতার মূলধারার এবং সুপ্রিম কোর্টের দেয়া ২২-৮- ২০১৭ এর তিন তালাক সংক্রান্ত বিধির সাথে সাংঘর্ষিক৷

এই বিলটির বিষয়বস্তু বৈপরীত্বময়৷ একদিকে তিন তালাককে অসদাচরণ এবং মিথ্যা সাব্যস্ত করা হয়েছে অপরদিকে তিন তালাককে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করে তিন তালাক প্রয়োগকারীর জন্য তিন বছর কারাদণ্ডের আদেশ জারী করা হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, তালাকই যদি পতিত না হয় তাহলে তিন তালাকের উপর শাস্তি কিভাবে হতে পারে?

এই বিল এর ৪.৫.৬.৭ নং অনুচ্ছেদ সংবিধানে পূর্ব থেকে বিদ্যমান আইনের সাংঘর্ষিক৷ (যেমন গার্ডিয়ান এবং ওয়ার্ড অ্যাক্ট ইত্যাদি) এবং সংবিধানের ৪১ নং অনুচ্ছেদ ও ৫১ নং অনুচ্ছেদের সাথে সাংঘর্ষিক৷ কারণ এই বিলে, যেসব মুসলিম নারীরা পূর্বে একযোগে তালাকপ্রাপ্তা হয়েছে তাদের সাথে এবং তারা ব্যতিত অন্য মুসলিম নারীদের সাথে বৈষম্য করা হয়েছে৷

এটা একটি বিস্ময়কর ব্যাপার যে, এই প্রদত্ত আইন যে সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে আরোপ করা হয়েছে উক্ত আইনের ক্ষেত্রে সে সম্প্রদায়ের সাথে না পরামর্শ করা হয়েছে, না নেতাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে৷ এবং না কোনো মুসলিম সংগঠন বা সংগঠকের পরামর্শ নেয়া হয়েছে এবং না কোনো মুসলিম নারী সমিতির সাথে আলোচনা করা হয়েছে।

যেহেতু এই বিলটি শরিয়তে ইসলামী এবং হিন্দুস্তানী আইন উভয়ের সাথে সাংঘর্ষিক, উপরন্তু নারীদের অধিকারের মাঝে হস্তক্ষেপ তাই আমরা জোরদার প্রতিবাদ জানাই সরকার সংসদে এই বিলটি প্রত্যাহার করুক৷

নতুবা পরিস্থিতি বিপরীত দিকেও নিতে পারে মোড়৷ আর যদি এই বিল বজায় রাখা প্রয়োজনই হয়ে থাকে তাহলে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড এবং মুসলিম নারীদের প্রতিনিধিত্ব করে এমন সংগঠন ও সংগঠকের সাথে পরামর্শের ভিত্তিতেই করা হোক। আমরা চাই উক্ত বিলটি নারী অধিকার রক্ষার জন্য শরিয়াতে ইসলামী এবং ভারতের সংবিধান উভয়টির সাথে সামঞ্জস্যময় হোক।

এইচজে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ