শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা ইসলামি লেখক ফোরামের বৈঠক অনুষ্ঠিত, আসছে নতুন কর্মসূচি সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে উত্তপ্ত খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা নেতানিয়াহুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ইসরায়েলি নাগরিক গ্রেপ্তার

বাংলাদেশি বামপন্থিদের বালকসুলভ ব্যাধি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুস সাত্তার আইনী

মানুষ অসুস্থ হলে, ব্যাধিগ্রস্ত হলে নিজের চিকিৎসা করায়। কিন্তু বাংলাদেশি বামপন্থীরা নিজেদের মন ও মগজে, চিন্তায় ও চেতনায় ব্যাধি বহন করে। তারা নিজেদের প্রগতিশীল ও অন্যদের প্রতিক্রিয়াশীল মনে করে। কিন্তু ওরা যে কত বড় প্রতিক্রিয়াশীল তা আমি নিজ চোখে বহুবার দেখেছি।

জামিয়া রাহমানিয়াতে থাকতে আমি আজিজ সুপার মার্কেটে যেতাম। ওখানে কিছু বামপন্থী বালকের সঙ্গে দেখা হতো। তারা তাদের বদহজমের বমি আমার সামনেই উদ্গীরণ করতো।

একজন একবার বলেছিলো, ইসলাম যাকাতের সুযোগ দিয়ে পুঁজিপতিদের সুবিধা করে দিয়েছে।

আমি বলেছিলাম, বাংলাদেশে পুঁজির বিকাশ ঘটেছে লুণ্ঠনের মাধ্যমে; স্বাধীনতার আগে বাংলাদেশে হাতে গোনা কয়েকজন কোটিপতি ছিলো। এখন কোটিপতির সংখ্যা লাখলাখ। তারা তাদের লুন্ঠনের টাকা জনগণকে ফেরত দিক, কাউকে যাকাত দিতে হবে না। এই যে আজিজ সুপার মার্কেট এটাও দাঁড়িয়ে আছে লুণ্ঠিত ভূমির ওপর; কারণ এটা পিজি হাসপাতালের সম্পত্তি।

বামপন্থীরা একাত্তর থেকে নিয়ে পঁচাত্তর পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নেয় নি; তারা একের পর এক অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে বা অভ্যুত্থান ঘটানোর জন্য ষড়যন্ত্র করেছে, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে।

যারা বামপন্থী বুদ্ধিজীবী নামে পরিচিত তাদের প্রায় সবাই একাত্তর সালে পাকিস্তান সরকারের অধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছে। কবীর চৌধুরী বলি, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলি বলি সবাই নিরাপদ আশ্রয়ই বেছে নিয়েছিলেন।

এ-সকল বুদ্ধিজীবীর প্রকৃত চরিত্র অঙ্কন করেছেন আহমদ ছফা। তিনি লিখেছেন : ‘সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশে জাতীয় মধ্যশ্রেণীভুক্ত বুদ্ধিজীবীরা সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেতা এই রাষ্ট্রীয় চতুস্তম্ভের জয়ধ্বনিতে আকাশ বাতাস মুখরিত করে ফেলেছিলেন। রেডিও-টেলিভিশনে তোষামোদ, চাটুকারিতা, নির্লজ্জ আত্মপ্রচার মানুষের সুস্থ কা-জ্ঞানকে একরকম মুছে ফেলতে উদ্যত হয়েছিলো।

সন্ত্রাস, গুম, খুন, ছিনতাই, দস্যুতা, মুনাফাখোরি, কালোবাজারি, রাজনৈতিক প্রতিপকে নির্বিচার হত্যা এগুলো একান্তই নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। মানুষের হনন প্রবৃত্তি, লোভ রিরংসার এরকম নির্লজ্জ আত্মপ্রকাশের সিংহদুয়ার খুলে দেয়ার ব্যাপারে তৎকালীন সরকার মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিল।

এই ধরনের একটি মাৎস্যন্যায় পরিস্থিতিতে বুদ্ধিজীবীদের অবশ্যই একটি পালনীয় ভূমিকা ছিল, একটা দায়িত্ব ছিল। কিন্তু তাঁরা সেদিন তাঁদের ওপর আরোপিত দায়িত্ব বিস্মৃত হয়ে যাবতীয় অমানবিক কর্মকা-ে সরকারের মদদ দিয়ে নিজেদের আখের গুছাবার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন।’ [সাম্প্রতিক বিবেচনা : বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস]


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ