শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল

জেরুসালেম ইসরায়েলের রাজধানী নয় কেন?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

গত ৬ ডিসেম্বর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু করে। এতে বিশ্ব নেতারা নিন্দা জানিয়েছেন।

ইসরায়েল ১৯৬৭ সালে সিরিয়া, মিশর এবং জর্ডানের সাথে যুদ্ধের শেষের দিকে পূর্ব জেরুসালেম তাদের অধিকারে নিয়ে নেয়। পবিত্র শহরটির অর্ধেক পশ্চিমাংশ ১৯৪৮ এ আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে দখলে নেয়া হয়েছিল।

ইসরায়েলের পূর্ব জেরুজালেমের উপর অধিকৃতি ক্রমান্বয়ে শহরটিকে ইসরায়েলের দখলের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। জেরুসালেমের উপর ইসরায়েল অধিক্ষেত্র এবং মালিকানা কখনোই আন্তর্জাতিক সংগঠন এবং ইউএস দ্বারা স্বীকৃত ছিল না।

১৯৪৭ সালের জাতিসংঘের প্যালেস্টাইনকে ইহুদি ও আরব রাজ্যের মধ্যে বিভক্ত করার জন্য জাতিসংঘের বিভাজন পরিকল্পনা অনুযায়ী, জেরুজালেমকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল এবং এটি আন্তর্জাতিক সার্বভৌমত্ব ও নিয়ন্ত্রণের অধীনে রাখা হয়েছিল। বিশেষ অবস্থা জেরুজালেমের তিনটি আব্রাহামিক ধর্মের ধর্মীয় গুরুত্বের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছিল।

১৯৬৭ সালের যুদ্ধের সময়, ইসরায়েল জেরুসালেমের পূর্বাঞ্চলীয় অর্ধেক দখল করে, যা জর্ডানি শাসনের অধীনে ছিল। ১৯৮০ সালে, ইসরায়েল 'জেরুসালেম আইন' পাস করে বলে, 'জেরুসালেম, সম্পূর্ণ এবং একক, ইসরাইলের রাজধানী'।

বর্তমানে পূর্ব জেরুজালেমের স্থানীয় বাসিন্দা রয়েছেন ৪ লাখ ২০ হাজার ফিলিস্তিনি। তাদের জর্দানের অস্থায়ী পাসপোর্ট আছে। তবে জর্দানে কাজ করতে হলে তাদের সরকারি অনুমোদন নিতে হয়। সরকারি চাকরির সুযোগ নেই তাদের। বিনামূল্যে শিক্ষা থেকেও বঞ্চিত এসব ফিলিস্তিনি।

বর্তমানে ৪৪ হাজার ইসরায়েলি বসতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে দেশটির ২ লাখের বেশি নাগরিক বাস করছে। আর এর জন্য ধ্বংস করা হয়েছে ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর। তাদের চলাফেরায়ও অনেক নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।

জেরুসালেমে অবৈধ বসতি নির্মাণও অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল, যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এর জন্য চৌদ্দতম জেনেভা কনভেশনে জাতিসংঘ বেশকিছু রেজুলেশন তৈরি করে। এতে বলা হয়, কোনো দখলদার দেশ দখলকৃত জায়গা থেকে জনগণদের অন্য জায়গায় সরাতে পারবে না। কিন্তু ১৯৬৭ সাল থেকে এই কাজটিই করে যাচ্ছে দেশটি। সূত্র: বিডি প্রতিদিন


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ