শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল

আজ ফিলিস্তিন দখলের ৭০ বছর পূর্তি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবরার আবদুল্লাহ
বিশেষ প্রতিবেদক

আজ ২৯ নভেম্বর, ২০১৭। অবৈধ ও অন্যায়ভাবে ফিলিস্তিনি ভূমি দখলের ৭০ পূর্তি।

১৯৪৭ সালের এই দিনে অন্যায়ভাবে ফিলিস্তিনকে বিভক্ত করে দুটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়।

প্রস্তাবে বলা হয়, ফিলিস্তিন ভূমিতে দুটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে এবং তাদের শান্তির্পূ সহাবস্থান নিশ্চিত করবে আন্তর্জাতিক বিশ্ব। কিন্তু দীর্ঘ সাত দশক পরও অধরাই রয়ে গেছে স্বাধীন সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ফিলিস্তিনের ওপর যুক্তরাজ্যের শাসনের লাগাম ছুটে যেতে থাকে। এর আগে ১৯২২ সালে লিগ অব নেশনসের কাছ থেকে অখণ্ড ফিলিস্তিনের ওপর ম্যান্ডেট লাভ করে ব্রিটিশরা। ইহুদিদের সঙ্গে গোপন চুক্তির ফলে ব্রিটিশ সরকারের উপর ক্রমশই ইহুদি রাষ্ট্র ঘোষণার চাপ বাড়তে থাকে।

এ প্রেক্ষিতে ১৯৪৭-এর ফেব্রুয়ারিতে ফিলিস্তিনের ওপর থেকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দেয় ব্রিটিশরা। এক সময়ের লিগ অব নেশনস, বর্তমান জাতিসংঘের কাছে এর দায়িত্ব অর্পণ করে। যা ছিলো ষড়যন্ত্রের অংশ।

১৯৪৭ সালের ২৯ নভেম্বর, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ফিলিস্তিনকে বিভক্ত করা নিয়ে বিতর্কিত ‘প্রস্তাব ১৮১’ গ্রহণ করে। প্রস্তাবটি তিন মিনিটের কম সময়ের এক ভোটাভুটিতে পাস হয়।

প্রস্তাব পাসের সময়টায় ফিলিস্তিন ছিল ১৩ লাখ ফিলিস্তিনি আরবের বসতি; বিপরীতে সেখানে ছিল ৬ লাখ ইহুদির বাস। এই বিভক্তির প্রস্তাব অনুসারে পরের বছরের ১ আগস্টের মধ্যে স্বাধীন ইহুদি ও আরব রাষ্ট্র গঠনের কথা ছিল।

প্রস্তাবিত ইহুদি রাষ্ট্রের জন্য বরাদ্দ হয় ১৪ হাজার বর্গকিলোমিটার (৫ হাজার ৪০০ বর্গমাইল) স্থান। আর সংখ্যাগরিষ্ঠ ফিলিস্তিনি আরবদের জন্য বরাদ্দ হয় সাড়ে ১১ হাজার বর্গকিলোমিটারের (৪ হাজার ৪০০ বর্গমাইল) তিনটি এলাকা। আর জেরুজালেম ও এর আশপাশের এলাকা নিয়ে গঠন করা হয় এক বিশেষ আন্তর্জাতিক অঞ্চল।

১৯৪৮-এ জনসংখ্যার মাত্র ৩০ শতাংশের প্রতিনিধিত্বকারী হয়েও ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল ফিলিস্তিনের ৫৪ শতাংশ ভূখণ্ডের মালিক হয়। ক্ষুব্ধ আরব দেশগুলো পুরো ফিলিস্তিনকে নিয়ে একটি একক, গণতান্ত্রিক ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের ডাক দেয়।

১৯৪৮-এ ইসরায়েল রাষ্ট্র ঘোষিত হলে প্রতিবেশী চারটি আরব দেশ একযোগে ইসরায়েল আক্রমণ করে। যুদ্ধে আরবরা পরাজিত হয়। জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী নিজেদের জন্য বরাদ্দকৃত স্থানেরও বেশি মোট ৭৭ শতাংশ ভূমির ওপর আজ দখলদারি প্রতিষ্ঠা করেছে ইসরায়েল। আর আজ ৭০ বছর পরও অধরা স্বাধীন ফিলিস্তিনের স্বপ্ন।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ